ভাষা মানুষের কল্পনা, চিন্তা-চেতনা, স্মৃতি-অনুভূতি ও সংস্কৃতির প্রকাশমাধ্যম। আর কাব্য-সাহিত্য হলো ভাষার সৌন্দর্য ও গভীরতার অনন্য শিল্পরূপ। মানবজীবনের চিন্তা, অনুভব ও কল্পনাকে প্রাণবন্ত করে তোলে বিভিন্ন অলংকার। সুনিশ্চিতভাবে অনুপ্রাস, উৎপ্রেক্ষা, উপমা তার অন্যতম। এর মধ্যে উপমা দুটি ভিন্ন বস্তুর মধ্যে তাদের সাধারণ গুণাবলীর সাদৃশ্য খুঁজতে বা তুলনা করতে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: ভাষা তো নদীর মতো বাঁকে বাঁকে নাম বদলায়। কোরআনের ভাষা সমুদ্রের চেয়েও গভীর। এখানে নদী এবং সমুদ্রের সাথে ভাষার তুলনা করা হয়েছে।
কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে ভাষা কেবল প্রকাশের উপকরণ নয়; এটি দায়িত্বও বটে। শব্দের মাধ্যমে যেমন সৌন্দর্য-লালিত্য এবং নান্দনিকতা সৃষ্টি করা যায়, তেমনি বিভ্রান্তি, অশালীনতা বা অন্যায়ও ছড়ানো যায়।
তাই ইসলাম, ভাষা ও সাহিত্য উভয় ক্ষেত্রেই শালীনতা, সত্য ও নৈতিকতার সীমা নির্ধারণ করেছে। উপমা, যা সাহিত্যকে রঙিন করে তোলে, সেটিরও রয়েছে নৈতিক সীমারেখা। ইচ্ছে হলেই সব কিছুকেই উপমা হিশেবে ব্যবহার করা যায় না। সাধারণ সাহিত্যে বা কবিতায়-ও ইচ্ছে মাফিক বা যেকোনো উপমা ব্যবহার করা যায় না। আর কোরআন হাদিসের আলোচনায় উপমা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
ইসলামে ভাষা ব্যবহারে নৈতিকতা
ইসলামে মানুষের মুখ থেকে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের জন্য দায়বদ্ধতা নির্ধারিত আছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।"
(সূরা ক্বাফ, আয়াত -১৮)
এই আয়াত ভাষার ব্যবহারে গভীর সতর্কতার আহ্বান জানায়। ইসলামী আলোচক, মুফাস্সির, রাহবার এমনকি কবি সাহিত্যিক, শিল্পী, গীতিকার, সুরকার সবার জন্য এই দায় আরও গুরুতর, কারণ তাঁর শব্দ শুধু নিজের নয়, সমাজেরও সম্পদ। মাঝে মধ্যে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মানদন্ডেও উত্তীর্ণ হতে হয়। তাই যখনই কেউ উপমা, রূপক বা প্রতীকের আশ্রয় নেয়, তখন সেটি ইসলামী নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া অত্যাবশ্যক।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
“যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা নীরব থাকে।”
(সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
এ নির্দেশই ইসলামী কাব্য সাহিত্য এবং ইসলামী আলোচনার মূলনীতি। কেউ ফুটবল খেলায় কতটি গোল দিয়েছে অথবা কতগুলি মাহফিল করেছেন, অথবা কতগুলি গান কবিতা লিখেছেন বা গেয়েছেন এসব শোনার জন্য শ্রোতা দর্শক আসে না। শ্রোতা দর্শক আসেন কোরআন হাদিসের যুগোপযোগী ব্যাখ্যা শোনার জন্য। দুনিয়া বদলে গেছে। এখন আত্ম-আলোচনা কেউ পছন্দ করে না, বরং আত্মসমালোচনা বেশি প্রয়োজন। উত্তম কথা বলা, অর্থাৎ সত্য, কল্যাণ ও সৌন্দর্যের প্রকাশ মানুষের চরিত্র ও সমাজ উভয়কেই উন্নত করে।
আলকোরআনে উপমার প্রয়োগ:
সৌন্দর্য ও শিক্ষা
কুরআনুল কারিমে অসংখ্য স্থানে উপমা (مَثَل / মিসাল) ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন,
“আমি এ কোরআনে মানুষের জন্যে সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা অনুধাবন করে।" (সূরা আয-যুমার, আয়াত -২৭)
এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন যে, তিনি কুরআনে এমন সব দৃষ্টান্ত, উপমা ও উদাহরণ তুলে ধরেছেন, যা মানুষকে সত্য ও সঠিক পথ অনুধাবন করতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে মানুষ তাদের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বুঝতে পারবে এবং আল্লাহর নির্দেশনার প্রতি মনোযোগী হবে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সূরা ইব্রাহীম, আয়াত ২৪-২৫-এ বলা হয়েছে যে, ভালো কথার (যেমন ঈমান বা আল্লাহর স্মরণ) উপমা হলো একটি সুদৃঢ় ভিত্তি ও আকাশে বিস্তৃত শাখা-প্রশাখা যুক্ত চমৎকার গাছের মতো, যা তার রবের নির্দেশে সব সময় ফল দান করে। আল্লাহ মানুষের জন্য এই ধরনের উপমা দেন, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।”
এখানে উপমার উদ্দেশ্য কেবল ভাষার সৌন্দর্য নয়; এটি মানুষের অন্তরে নৈতিক উপলব্ধি জাগানোর উপায়।
কুরআনের প্রতিটি উপমা বাস্তব, শালীন, অর্থবহ ও শিক্ষণীয়। অর্থাৎ কল্পনার নামে মিথ্যা নয়, প্ররোচনার নামে অশালীন নয়।
এই নীতিই ইসলামী সাহিত্যকেও অনুসরণ করতে হয়।
সাহিত্যিক উপমায় সত্য ও শালীনতার সীমা
ইসলামে সত্যকে বিকৃত করা বা অতিরঞ্জিত করা নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন,
“হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদী হও।”
(সূরা আত-তাওবা, আয়াত -১১৯)
সাহিত্যে উপমা অনেক সময় অতিরঞ্জনের আশ্রয় নেয়। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে কল্পনা ও মিথ্যার পার্থক্য স্পষ্ট। কল্পনা হতে পারে সৌন্দর্যের উপায়, কিন্তু মিথ্যা নিশ্চিত পাপ।
যেমন- কাউকে "ফেরেশতার মতো” বলা যেতে পারে গুণের উপমায়; কিন্তু “নবীর মতো” বলা ঈমানের দৃষ্টিতে অনুচিত। ক্ষেত্রবিশেষে পাপ। কারণ এটি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের সীমা অতিক্রম করে।
অশালীন উপমা ও হায়ার নীতি
ইসলামে হায়া বা লজ্জাবোধকে ঈমানের অঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
“লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।” (সহীহ বুখারী)
অতএব, সাহিত্য বা কবিতায় যদি উপমা অশালীন ইঙ্গিতবাহী হয়, বিশেষত নারী-পুরুষ সম্পর্ক, দেহবর্ণনা বা যৌন রূপকের মাধ্যমে। তাহলে তা ইসলামী আদববিরোধী। অতিরঞ্জিত। অনভিপ্রেত। তাই এমন উপমা ব্যবহার ইসলাম অনুৎসাহিত করে।
সত্যিকার ইসলামী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানবমর্যাদাকে উন্নত করে, কামনাকে নয়।
উদাহরণ:
কবি নজরুল ইসলামের “নারী” কবিতায় তিনি নারীকে তুলনা করেছেন,
“বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”
এটি শালীন উপমার উদাহরণ। এখানে নারীকে দেহ নয়, সৃষ্টির অংশ হিসেবে শ্রদ্ধা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পাশ্চাত্য সাহিত্যে অনেক সময় দেহকে উপমার কেন্দ্রে এনে কৌতূহল সৃষ্টি করা হয়, যা ইসলামী নীতিতে গ্রহণযোগ্য নয়।
ধর্ম, জাতি ও ব্যক্তিকে হেয় করে উপমা দেওয়া নিষিদ্ধ
ইসলামে কারও প্রতি উপহাস বা অবমাননা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
"হে ঈমানদারগণ, কোন সম্প্রদায় যেন অপর কোন সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর কোন নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ উপনামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নাম কতইনা নিকৃষ্ট! আর যারা তাওবা করে না, তারাই তো যালিম।"
(সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত-১১)
অতএব কোনো সাহিত্যিক বা বক্তা এমন উপমা ব্যবহার করতে পারেন না যা অন্য ধর্ম, জাতি বা ব্যক্তিকে অপমান করে। ইসলামী আদব অনুযায়ী ন্যায় ও সম্মান বজায় রাখতে হবে।
যেমন, কারও দুর্বলতা বা বংশ নিয়ে বিদ্রূপমূলক উপমা দেওয়া ইসলামী নৈতিকতার পরিপন্থী।
শিক্ষণীয় ও প্রেরণামূলক উপমা
ইসলামী দৃষ্টান্ত
ইসলামী সাহিত্য উপমাকে সবসময় জ্ঞানের ও নৈতিকতার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে।
ইমাম আল-গাজ্জালী তার ইহইয়াউ উলুমিদ্দীন গ্রন্থে মানুষকে গাছ, নদী, আলো ইত্যাদির উপমায় ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, মানুষ যেমন গাছ, তেমনি তার কাজ হলো ফল দেওয়া। অর্থাৎ কল্যাণ সৃষ্টি করা।
আল্লামা ইকবাল তাঁর কবিতায় “শের” (বাঘ) এর উপমা দিয়েছেন সাহসী মুসলমানের প্রতীক হিসেবে। তিনি বলেন
“শের-এ খুদা মিয়া, তু হি হায় ইকবাল কা খুদা।”
অর্থাৎ, বাঘের মতো আত্মমর্যাদা ও ঈমানের শক্তি অর্জন করাই মুমিনের লক্ষ্য।
এই উপমায় শিক্ষা আছে, অহংকার নয়।
এভাবে ইসলামী উপমা সবসময় আত্মশুদ্ধি, আত্মসমালোচনা ও সৃষ্টির সৌন্দর্য উপলব্ধির দিকেই আহ্বান করে।
কবি ও সাহিত্যিকের দায়িত্ব
ইসলামে কবি বা সাহিত্যিকের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুতর। আল- কোরআনের
সূরা আশ-শুআরা ২২৪-২২৭ নম্বর আয়াতগুলোতে কবি এবং বিশ্বাস স্থাপনকারীদের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ২২৪ ও ২২৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে যে, "বিভ্রান্ত বা পথভ্রষ্ট লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে, যারা সত্যের উপর থাকে না।" ২২৬ ও ২২৭ নম্বর আয়াতে এর বিপরীত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে; যেখানে বলা হয়েছে যে, "যারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং আল্লাহর স্মরণ করে, তারা এর ব্যতিক্রম।" এই আয়াতগুলোতে কবিদের বক্তব্যের উদ্দেশ্য এবং ঈমানদারদের কর্ম ও তাদের চূড়ান্ত পরিণতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।"
সৎকর্ম ও ঈমানের পথে যারা আছে, তাদের ব্যতীত কবিদের অনুসরণ করা উচিত নয়।
প্রকৃতপক্ষে, কবিদের মধ্যে যারা ঈমান ও সৎকর্ম করে না, তারা কেবল পথভ্রষ্টদের অনুসরণ করে।
এই আয়াতগুলো আমাদেরকে সঠিক পথে চলতে, সৎকর্ম করতে এবং আল্লাহকে বেশি স্মরণ করতে উৎসাহিত করে। অর্থাৎ, কবিতা ও সাহিত্য ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। বরং এটি দায়িত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। কবি যদি সত্য, ন্যায় ও আল্লাহভীতিকে ভিত্তি করে সাহিত্য রচনা করেন, তবে তা ইবাদতের সমতুল্য হতে পারে।
কিন্তু মিথ্যা, অশালীন বা বিভ্রান্তিকর উপমা ব্যবহার করলে সাহিত্য হয়ে যায় নৈতিক অবক্ষয়ের হাতিয়ার।
ইসলামী সাহিত্য ও সমকালীন দৃষ্টিভঙ্গি
আজকের যুগে সাহিত্য ও গণমাধ্যমে উপমা অনেক সময় নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করছে। প্রেম, দেহ, রাজনীতি, এমনকি ধর্মকেও উপমার মাধ্যমে বিদ্রূপ করা হচ্ছে, যা পাঠকের মনে নৈতিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার, যা লেখককে আল্লাহর কাছে দায়ী করে। আধুনিক ইসলামী সাহিত্যিকদের দায়িত্ব হলো-
উপমার মাধ্যমে সৌন্দর্যের পাশাপাশি আল্লাহর মহিমা প্রকাশ করা।
সমাজে ন্যায়, ইনসাফ, হায়া ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করা।
এবং এমন শব্দচিত্র সৃষ্টি করা, যা পাঠককে আত্মশুদ্ধির পথে আহ্বান জানায়।
উপমার আদর্শ: কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে
কুরআনের উপমাগুলো শুধু কবিত্ব নয়, তা যুক্তি ও দর্শনের শিক্ষাও দেয়। যেমন:
“যারা কৃপণতা করে, তারা যেন না ভাবে যে কৃপণতা তাদের জন্য ভালো; বরং এটি হবে তাদের গলায় ঝুলানো শৃঙ্খল।”
(সূরা আলে ইমরান, আয়াত -১৮০)
এই উপমা অর্থনৈতিক নীতিশাস্ত্র শেখায়। কৃপণতা আত্মবিনাশের প্রতীক।
অন্যদিকে রাসূলুল্লাহ ﷺ অনেক সময় নৈতিক শিক্ষা দিতে উপমা ব্যবহার করেছেন। যেমন:
“মুমিনরা পরস্পর ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতিতে এমন, যেন এক দেহ। দেহের একটি অঙ্গ কষ্ট পেলে সমস্ত দেহ অস্থির হয়ে পড়ে।” (সহীহ মুসলিম)
এটি উপমার সর্বোচ্চ শালীনতা ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত, যেখানে তুলনা করে বোঝানো হয়েছে ঐক্য ও সহানুভূতির বার্তা।
ইসলামী নীতিতে আদর্শ উপমার বৈশিষ্ট্য
ইসলামের দৃষ্টিতে একটি আদর্শ উপমার মধ্যে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে:
সত্যনিষ্ঠা: বাস্তবতা ও নৈতিক সত্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।
শালীনতা: হায়া, সৌন্দর্য ও সম্মান বজায় রাখতে হবে।
উদ্দেশ্যের স্পষ্টতা ও পূর্ণতা: উপমা কেবল অলংকার নয়, শিক্ষার মাধ্যম হতে হবে।
অবমাননামুক্ততা: কোনো ব্যক্তি, জাতি বা ধর্মকে আঘাত না করা।
আল্লাহস্মৃতি ও মানবকল্যাণ: উপমা যেন সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও মানবতার বার্তা বহন করে।
উপমা সাহিত্যি ও কবিত্ব প্রকাশের শক্তিশালী উপায়। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে এটি কেবল শিল্প নয়, নৈতিক দায়িত্ব। কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টান্তে দেখা যায়, উপমা তখনই মূল্যবান, যখন তা সত্যকে স্পষ্ট করে। হৃদয়কে আলোকিত করে। এবং মানুষের চরিত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। অশালীনতা, অতিরঞ্জন ও মিথ্যাচার উপমাকে বিকৃত করে। শালীনতা, জ্ঞান ও ঈমান উপমাকে করে তোলে ইবাদতের অংশ। অতএব, ইসলামী কবি সাহিত্যিকের লক্ষ্য হবে- ভাষাকে এমনভাবে ব্যবহার করা, যাতে শব্দ নয়, অর্থ কথা বলে। এবং সেই অর্থ মানুষকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেয়।
সাহিত্যিকের কলম তখনই পবিত্র, যখন তার উপমা সত্যের সেবা করে। আর শালীনতার আলোয় সমাজকে আলোকিত করে।
লেখক: কলামিস্ট
জিবরান খলিলী
আরও পড়ুন:








