বুধবার

১২ নভেম্বর, ২০২৫ ২৮ কার্তিক, ১৪৩২

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের বিজয়; আওয়ামী লীগের জন্য ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ ভয়াবহ!

অনিরুদ্ধ অনিকেত 

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:০৮

আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:০৯

শেয়ার

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের বিজয়; আওয়ামী লীগের জন্য ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ ভয়াবহ!
আওয়ামী লীগের জন্য ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ ভয়াবহ

বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি দীর্ঘ ইতিহাস সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এই ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক কাঠামো নয়; বরং এটি জাতীয় রাজনীতিরও প্রতিচ্ছবি। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ডাকসু নির্বাচনের প্রতিফলন দেখা গেছে জাতীয় সংসদ রাজপথে। সেই ডাকসু নির্বাচনে যদি কোনো ছাত্রসংগঠন অপ্রত্যাশিতভাবে বিজয়ী হয়, তবে তা জাতীয় রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ তৈরি করে।

এই নির্বাচনে প্রায় ৭৮ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছে। কাস্টিং ভোটের ভেতরে ছাত্রশিবির প্রার্থী ভিপি পদে সাদিক কায়েম ১৪০৪২, জিএস পদে ফরহাদ ১০৭৯৪, এজিএস পদে মহিউদ্দিন ৫০১ ভোট পেয়েছেন। পক্ষান্তরে ছাত্রদলের ভিপি পদে আবিদুল খান ৫৬৫৮ ভোট, জি এস পদে হামিম ৫২৮৩, এজিএস পদে মায়েদ ৪২৫৪ ভেট পেয়েছেন। বৈষম্য বিরোধী সংসদের ভিপি পদে আব্দুল কাদের ৬৬৮, জি এস পদে আবু বাকের মজুমদার ৮৪৫। স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের উমামা ২১০০, জি এস পদে সাদী ৪৬ ভোট এবং প্রতিরোধ পর্ষদের ভিপি পদে ইমি ১১ ভোট, জিএস পদে মেঘ মল্লার বসু ৪০৫৮ ভোট স্বতন্ত্র হিসেবে ভিপি পদে শামীম ১৮১৫ এবং জিএস পদে আরাফাত চৌধুরী ১১১৯ ভোট পেয়েছেন। মোট ৪১ টি পদের নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেল অধিকাংশ পদেই জয়লাভ করেছে।

এবারের ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে কার কতোটা অন্তর্নিহিত শক্তি কাজ করেছে সেটি মুখ্য ভূমিকা পালন করলেও ইসলামী চেতনা ব্যাপক পরিসরে কাজ করেছে। এছাড়াও ছাত্র শিবিরের এই বিজয় নিঃসন্দেহে নতুন প্রজন্মের ভারত বিরোধিতা আধিপত্য বিরোধী মনোভাবের চূড়ান্ত প্রতিফলন। অন্যায় অবিচার নিপীড়ন মাসল পাওয়ার দেখানোর দিন- যে শেষ হয়ে এসেছে এটি তার বস্তুনিষ্ঠ উদাহরণ। এখনকার প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসার ঘোরতর বিরোধী। অন্তত দেশের অন্যতম এই সবোর্চ্চ প্রতিষ্ঠানের মেধাবী তরুণ- তুর্কিদের এই রায় তাই বলেছে এবং বলছে। টকশোতে বসে উদ্দেশ্য প্রণোদিত নিখুঁত ন্যারেটিব এই প্রজন্মকে গেলানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না।

ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুঃসাহসী বিজয়, তাই শুধু ছাত্ররাজনীতির জন্য নয়, বরং আওয়ামী লীগের জন্যও এক বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা, ঐতিহাসিকভাবে ডাকসু আওয়ামী লীগপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রভাব বলয় হিসেবে পরিচিত।

ডাকসুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব হলো

ডাকসু বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম সূতিকাগার। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদ হটানোর আন্দোলন- সব ক্ষেত্রেই ডাকসু নেতৃত্ব ছাত্রসংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ডাকসুর নেতৃত্বের প্রধান দাবিদার হয়ে ওঠে।

মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়েও ডাকসুর বেশিরভাগ সভাপতি জিএস ছাত্রলীগ থেকে আসা একটি সাধারণ দৃশ্য ছিলো।

এই ইতিহাস থেকেই বোঝা যায়, ডাকসু নির্বাচন কখনোই কেবল একটি শিক্ষার্থী সংসদের ভোটযুদ্ধ নয়, বরং ভবিষ্যৎ জাতীয় রাজনীতির দিকনির্দেশক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।

শিবিরের বিজয়: নতুন বাস্তবতা

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের অপ্রত্যাশিত বিজয় ছাত্ররাজনীতির সমীকরণকেই বদলে দিলো। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা মূলধারার বাইরে থাকলেও এবার তারা সাংগঠনিক শক্তি, শৃঙ্খলা, এবং আদর্শিক একাত্মতার মাধ্যমে ভোটে সাফল্য অর্জন করেছে।

শিবিরের বিজয়ের পেছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা যায়-

পলাতক আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অনুপস্থিতি। এবং আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের কুশাসনামলে ছাত্র লীগের ভেতর বিভাজন কোন্দল, দীর্ঘদিন ক্ষমতার রাজনীতিতে থাকার ফলে ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপিং, টেন্ডারবাজি সহিংসতা শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করেছে। রাজনৈতিক পদধারী ছাত্রদের হাতে নিরীহ ছাত্র নির্যাতন ক্ষেত্রবিশেষে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা এবং ছাত্রীদের প্রতি অশালীন আচরণ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনকে অপ্রিয় করে তোলে। সেই সুযোগেই

শিবিরের সংগঠনিক শৃঙ্খলা, শিক্ষাগত পরিচ্ছন্নতা আদর্শিক প্রশিক্ষণের কারণে ছাত্রসমাজে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

নিরপেক্ষ ভোটারদের সহানুভূতি শিবিরের পক্ষেই ছিলো। এছাড়াও যারা দলীয় দখলদার রাজনীতিতে ক্লান্ত, তারা বিকল্প হিসেবে শিবিরকে বেছে নিয়েছে।

জাতীয় রাজনীতির জবাবদিহিতা না থাকাও এই বিজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জসমূহ

শিবিরের এই জয় বিএনপি আওয়ামী লীগের জন্য সরাসরি রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে। তাদের সামনে কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ তথাপি তারাও চায় ভবিষ্যত রাজনীতিতে ফিরতে। তবে তারা যে-সময়ের মধ্যে কাম ব্যাক করতে পারতো ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের এই বিজয়ের কারণে তা অন্তত আরো বছর পিছিয়ে গেল। শিবিরের এই বিজয় বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তারা ছাত্রদলের পুনর্গঠন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জে পড়লো।

ছাত্রলীগের উপর জনগণের আস্থা নষ্ট হয়েছিল মূলত দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং ক্যাম্পাসে সহিংসতার কারণে। ছাত্রলীগীয় ছাত্র দল ছাত্রসমাজ চায় না। তাই গনেশ মার্কা ছাত্রদল থেকে ছাত্র সমাজ তাদের মুখ ফিরিয়ে নেছে।

ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বাধীন রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা চালানোর সুযোগ না থাকে, তবে বিকল্প শক্তি আরও জোরালোভাবে সামনে আসবে। বিএনপিকে বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।

শিবির তাদের ইসলামী আদর্শকে সামনে রেখে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করেছে। বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো বরাবরই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও, বাস্তবে দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার তাদের অবস্থানকে দুর্বল করেছে। এখন তাদের আবার আদর্শিক ভিত্তি শক্ত করতে হবে।

ডাকসুর ফলাফল কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং তা জাতীয় নির্বাচনের জন্যও একটি বার্তা। ১৯৯০ সালের আন্দোলনের মতো ছাত্ররাজনীতি আবার যদি জাতীয় রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নেয়, তবে বিএনপির জন্য তা বড় ধরনের হুমকি হবে।

ডাকসুতে শিবিরের জয়কে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভেবে উপেক্ষা করা যাবে না। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল প্রায়ই জাতীয় রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

১৯৮৩ সালে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন অন্যান্য প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন একত্রিত হয়ে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, তার পরিণতিতে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়।

আজ যদি শিবির ডাকসুতে প্রভাবশালী হয়, তবে তারা ভবিষ্যতের আন্দোলন-সংগ্রামেও কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিতে পারে। বিএনপির জন্য এটি জাতীয় নির্বাচনের প্রাক-বার্তা হতে পারে। যুবসমাজ আর তাদের প্রতি আস্থা রাখছে না।

শিবিরের বিজয়ের পর ছাত্ররাজনীতিতে নতুন এক প্রতিযোগিতা শুরু হবে। একদিকে ইসলামী আদর্শভিত্তিক শিবির, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-ভিত্তিক আওয়ামী লীগীয় বিএনপি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন। এর ফলে ছাত্ররাজনীতি হয়তো আবারও সক্রিয় প্রাণবন্ত হবে। তবে আশঙ্কা থাকে, সহিংসতা, সংঘর্ষ দমনপীড়ন বাড়তে পারে।

ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিএনপি যদি নতুন প্রজন্মের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী কর্মপন্থা নির্ধারণ করে,

ছাত্রদলকে সংস্কার করে,

দখল তন্ত্র , চাঁদাবাজি দমননীতি বন্ধ করে,

প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে,

তাহলে তারা আবারও ছাত্ররাজনীতিতে ফিরে আসতে পারে। অন্যথায় শিবির তাদের সমর্থকরা ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করবে। শিবিরের এই বিজয়ের কারণ- স্পষ্ট। মিথ্যা ট্যাগিং দিয়ে সত্য স্তব্ধ করা যায় না।

মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা হয়ে জাতীয় পতাকা উড়ালেই শুধু স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দেশকে ভালোবাসা হয় না। সাথে সাথে সত্য, সততা, সাম্য ন্যায়পরায়ণতা থাকতে হয়। মানুষের প্রতি ভালোবাসা মমত্ববোধ, বিপদে পাশে দাঁড়ানো এবং দেশের প্রয়োজনে রক্ত দেওয়ার মতো চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা না থাকলে এখনকার প্রজন্ম কাউকে হৃদয়ে ধারণ করে না। পুরাতন ন্যারেটিভ বারবার আওড়ানোর থেকে নিজেদের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো অনুসন্ধান করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসলেই সফলতা আসবে। যদিও আবিদ অত্যন্ত ভদ্র ছেলে এবং তার চলন-বলন নেতৃত্ব এবং সত্য উচ্চারণে সাহসিকতা তাকে অনেক দূরে এগিয়ে নেবে। তার সংগঠনকেও সমৃদ্ধ করবে। তবে কোন বিকৃত তথা বিক্রিত মস্তিষ্কসম্পন্ন তথাকথিত সুশীল অথবা ভারতজীবীর বুদ্ধি যদি বিএনপি গ্রহণ করে তাহলে অব্যাহতভাবে ধরনের পরাজয় তাদের বরণ করতে হবে। কারণ পৃথিবীর কোন দেশেই শুধু মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বা স্বাধীনতা সংগ্রামভিত্তিক রাজনীতি শত শত বছর টিকে থাকে না। আদর্শভিত্তিক রাজনীতি দীর্ঘমেয়াদি হয় এবং মানুষের মনে প্রবল আশা জাগায়। শুধু মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ এগুলো করলেই বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে না। যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, দেশপ্রেমের কথা বলে, তাদেরকেই আগে দেশপ্রেমিক হতে হবে। আদর্শবান হতে হবে। ন্যায়পরায়ণ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। নারীদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। বহুগামিতার কুস্বভাব বন্ধ করতে হবে। মুসলিম সংস্কৃতি ভুলে, শুধুই পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ধারক-বাহক হওয়ার প্রবণতা থেকে সরে আসতে হবে। ভারতজীবী বা দাদা দাস-দাসী হয়ে এদেশকে যে আর শাসন করা যাবে না, এই নির্বাচন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

যারা বারবার বলেছিল যে পাকিস্তানপন্থীরা যেন ভোট না পায় তারাই যখন পরাজিত হলো, পক্ষান্তরে শিবির যখন জয় লাভ করলো তখন প্রমাণিত হলো যে, তারা পাকিস্তানপন্থী নয় বরং তারা বাংলাদেশপন্থী। তাদের বিরুদ্ধে বারবার প্রচারণা চালানো হয়েছে যে, তারা রগ কাটে। রগ কাটার উদাহরণ যদি দেখাতো তাহলে তাদের-তো এই বিপুল বিজয়ের কোন ধরনের সম্ভাবনা ছিল না। একজনের রগ কাটলে সেই তথ্য যদি সত্য হয় তাহলে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। মানুষ বারবার দেখতে থাকে। এবং সেই রগহারা ব্যক্তিটি বারবার যদি তার রগ কাটার ঘটনাটি মিডিয়ার সামনে বলতে থাকে, তখন তো, আর যাই হোক, শিবির ভোট পাওয়ার কথা না। পর্যন্ত কোন একজন কোনদিন মিডিয়ার সামনে এসে বললো না, এই যে আমার রগ কেটেছিল শিবির। কোন একজন নারী এসে বললো না যে, আমাকে ইভটিজিং করেছিল শিবির ।আমাকে ধর্ষণ করেছিল শিবির ।আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক করেছিল শিবির আমার সাথে ভালোবাসার প্রতারণা করেছিল। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেটা ফেরত দেয়নি। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে শিবির। ধরনের একটি অভিযোগ- কেউ যখন সামনে আনতে পারে না তখন শুধু মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বলে বলে অপপ্রচার চালিয়ে আর যাই হোক বিজয় ছিনিয়ে আনা যায় না।

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের বিজয় ছাত্ররাজনীতির জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এটি আওয়ামী লীগীয় বিএনপি চেতনার শুধু পরাজয় নয়, বরং এক কঠিন বাস্তবতার বার্তা। দীর্ঘদিন শুধু মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চেতনার ফলে জনগণের, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আস্থা হারানো রাজনৈতিক শক্তির জন্য এক সতর্ক সংকেত।

অতএব, আওয়ামী লীগীয় বিএনপি যদি আবারও ছাত্ররাজনীতিতে এবং পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে চায়, তবে তাদের গভীর আত্মসমালোচনা সংস্কার ছাড়া বিকল্প নেই। অন্যদিকে শিবিরের এই বিজয় হয়তো জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন শক্তির উত্থানের সূচনা।

লেখক: রাজনীতি বিশ্লেষক কলামিস্ট



banner close
banner close