
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিএনপি ও সশস্ত্রবাহিনীর মতামত ও সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি শক্তিকে অবজ্ঞা করলে সরকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল, যার একটি বৃহৎ সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান; যাঁর মহান মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে নজিরবিহীন ব্যাপক ভূমিকা। তাঁর সুযোগ্য স্ত্রী ৩ বারের সফল প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিকে আন্দোলনের রোল মোডেল বেগম খালেদা জিয়া এবং পরবর্তীতে দেশ নায়ক তারেক রহমান সাহেবও বাংলাদেশের জনগণের কাছে বিপুল জনপ্রিয়। এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতের প্রতীক। পক্ষান্তরে সশস্ত্রবাহিনী দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বাদ রেখে দেশের কল্যাণ সাধন অসম্ভব। সুতরাং অন্তর্বতী সরকার বিএনপি বা সশস্ত্র বাহিনী কাউকেও অবমূল্যায়ন না করে একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দিকে ধাবিত হলেই দেশের সার্বিক কল্যাণ।
বিএনপির মতামত উপেক্ষা: অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁচা সিদ্ধান্ত :
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন ও কার্যক্রম নিয়ে নানা বিতর্ক ও আলোচনা চলছে। এই সরকারে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অংশগ্রহণ না থাকা এবং তাদের মতামত উপেক্ষা করা একটি গুরুতর রাজনৈতিক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির রাজনৈতিক ও জনসমর্থনের গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে বর্তমান সরকারকে। কিছু কিছু উপদেষ্টা হয়তো ভুলেই গেছেন- নিজ এলাকায় তাদের জনসমর্থন কতোটা হতাশাজনক শতাংশ হতে পারে। একটি ইউনিয়ন মেম্বার হওয়ার মতো ভোট-সমর্থন তাদের পক্ষে নেই আছে কি না তা গবেষণার বিষয়। যে কারণে তাদের অনেকেই অধিকতর বাচালতায় ভারাক্রান্ত। এছাড়া বিগত আওয়ামী লীগের চেয়েও ছাত্র উপদেষ্টাদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্লাটফর্মে আলোচিত হয়। তারা ভুলেই গেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। দলটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিএনপি ৩বার সরকার গঠন করেছে এবং একাধিকবার প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে। তাদের একটি বিশাল সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে, যারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তৃত। এই দলটির মতামত ও অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো জাতীয় উদ্যোগ বা সরকার গঠন করলে তা জনগণের একটি বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে, সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সাধারণ জনমানষে-ও।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপি’র দীর্ঘ পথ পাড়ি ও ঐতিহাসিক ত্যাগ
বিএনপি’র দীর্ঘ পথ পাড়ি ও ঐতিহাসিক ত্যাগের কাহিনী বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। প্রতিষ্ঠাকালে দলটির মূল আদর্শ ছিল ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’, যা দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও ইসলামী মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে গঠিত। এই আদর্শের মাধ্যমে বিএনপি দেশের জনগণের মধ্যে একটি নতুন রাজনৈতিক চেতনার সঞ্চার করে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের গণআন্দোলন, ২০০৭-২০০৮: জরুরি অবস্থা ও রাজনৈতিক সংকটে [২০০৭ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয় এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এই সময়ে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হন, দেশনায়ক তারেক রহমানের উপর অমানুষিক নির্যাতনে মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া এবং দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। এই সময়ে দলের সাংগঠনিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে।], ২০০৯-২০২৩: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম [২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে বিএনপি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সময়ে দলটি বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। বিএনপি’র দাবি অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে দলের ৪৭৭১ জন নেতাকর্মী ক্রসফায়ার ও নির্যাতনে নিহত হন [বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে প্রাপ্ত] । এছাড়া, হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার, গুম ও নির্যাতনের শিকার হন], শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি’র সমর্থন বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাংঘাতিক গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপি’র দীর্ঘ পথ পাড়ি ও ঐতিহাসিক ত্যাগ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। দলটি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নিপীড়ন, গ্রেফতার, গুম ও হত্যার শিকার হয়েও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। বিএনপি’র এই ত্যাগ ও সংগ্রাম দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের বিকাশে বিএনপি’র ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ও মতামতের প্রতিফলন। অন্তর্বর্তী সরকার যদি একটি নির্দিষ্ট দলের মতামত উপেক্ষা করে পরিচালিত হয়, তাহলে তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী হয়ে দাঁড়ায়। এতে করে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায় এবং জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়।
এসব প্রেক্ষিতে বিএনপিকে পাশ কাটিয়ে চলার নীতি চলমান থাকলে- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার আশঙ্কা অূলক নয়। এবং পরবর্তীতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও বৈধতা, সমঝোতা ও সংলাপ বাধাগ্রস্থ হবে। তাই বিএনপির মতামত উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করা স্বল্পমেয়াদে কার্যকর মনে হলেও, দীর্ঘমেয়াদে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হতে পারে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক সমালোচনা, নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক- সব মিলিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই, সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সরকার গঠনই দেশের জন্য মঙ্গলজনক। দেশের গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সমঝোতা ও সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনই বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।
বর্তমান বাস্তবতায় সশস্ত্রবাহিনীর মূল্যায়ন
বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সশস্ত্রবাহিনী (Army, Navy, Air Force) বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে সশস্ত্রবাহিনী জাতিসংঘ শান্তি মিশন (UN peacekeeping) এ অংশগ্রহণে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালনকারী। এই অবস্থান রক্ষা করতে হলে সশস্ত্রবাহিনীকে নিজেদের ভেতরে দলীয়করণ থেকে দূরে রাখতে হবে। যদি বাহিনী রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে, তবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ও অংশগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তবে বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় সশস্ত্রবাহিনীকে কেবল একটি সামরিক শক্তি হিসেবে নয়, বরং একটি স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সশস্ত্রবাহিনীর অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে, বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক সংকটময় সময় পার করছে। এই প্রেক্ষাপটে সশস্ত্রবাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখলেও, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নির্বাচনকালীন পরিবেশ নিশ্চিত করতে তাদের উপর জনগণের প্রত্যাশা প্রবলভাবে বর্তায়। গণমানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তত এমন-ই। সাধারণ জনগণের একটি বড় অংশ এখন সুশাসন, ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। যখন তারা রাজনীতিবিদদের প্রতি আস্থা হারায়, তখন অনেকেই সশস্ত্রবাহিনীর দিকে চায়। সশস্ত্রবাহিনীকে তারা মনে করে একটি তুলনামূলকভাবে সুশৃঙ্খল, দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত এবং দেশপ্রেমিক বাহিনী হিসেবে। তবে, ইতিহাস দেখায়, যে-কোনো সময় সশস্ত্রবাহিনীর অতিরিক্ত বা অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা রাষ্ট্রে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই প্রয়োজনে সাময়িক সহযোগিতা ও নিয়মিত রাজনীতিতে স্থায়ী হস্তক্ষেপ-এই দুইয়ের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
গণতন্ত্র বনাম শৃঙ্খলা- এমন একটি গুরুতর পরিস্থিতে সশস্ত্রবাহিনী দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়তে পারে। এখানে একটি মৌলিক প্রশ্ন উঠে আসে: রাষ্ট্র যখন গভীর রাজনৈতিক মেরুকরণে বিভক্ত, তখন সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা কী হবে? সম্ভবত: প্রশ্ন ও আশংকা এমন হতে পারে-নীরব থাকবে? কিন্তু নীরব থাকলে অরাজকতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। অথবা রাষ্ট্রক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করবে? তাহলে গণতান্ত্রিক ধারাকে চ্যালেঞ্জ করা হবে। তাহলে তারা কোন দিকে যাবে? তাদের সক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমায় থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারকে সম্ভব সকল সহায়তা দেবে। এটিই আদর্শ ও সংবিধানসম্মত ভূমিকা। এবং ৫ আগস্ট ২০২৪ খ্রি: পট পরিবর্তনের পর থেকে সশস্ত্রবাহিনী সেটাই করে যাচ্ছে। সশস্ত্রবাহিনীর জন্য এ ধরনের দ্বৈত ভারসাম্য রক্ষা করা প্রায়শই কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়ায়। রাজনীতি ও সশস্ত্রবাহিনীর সুসম্পর্ক: না হলে দেশ গভীর সংকটে পড়তে বাধ্য। যদি রাজনৈতিক দলগুলো সশস্ত্রবাহিনীর প্রতি অবজ্ঞাসূচক মনোভাব নেয়, বা চেষ্টা করে বাহিনীকে দলীয়করণ করতে-তবে তা হতে পারে আত্মঘাতী। সেনাবাহিনীকে অবজ্ঞা করলে তার প্রভাব তিন স্তরে পড়ে- রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে পড়ে, প্রশাসনিক সমন্বয় ভেঙে যায় এবং জনসাধারণের আস্থা ক্ষুণ্ন হয়। এই তিনের সম্মিলিত ক্ষতি রাষ্ট্রের ‘আম-ছালা দুটো’ই কেড়ে নিতে পারে।
শেষ কথা-দেশ কথা
বিএনপি ও সশস্ত্রবাহিনীর মতামত ও সমর্থন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য অপরিহার্য। এই দুটি শক্তিকে অবজ্ঞা করলে সরকার বার বার রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সকল পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা ও সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ও স্থিতিশীল সরকার গঠন নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও সশস্ত্রবাহিনীর সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়। সশস্ত্রবাহিনী ব্যতীত অন্তর্বর্তী সরকার অসহায়-এই বক্তব্যের সত্যতা নির্ভর করে বাস্তব পরিস্থিতি, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং সশস্ত্রবাহিনীর ভূমিকার উপর। বর্তমান বাস্তবতায় সশস্ত্রবাহিনী একটি ব্যালান্সিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে-রাষ্ট্র ও রাজনীতির মাঝে। তাদের পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা ও সংবিধানের প্রতি আনুগত্য এখন আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। সশস্ত্রবাহিনীকে রাজনীতির ঘূর্ণিপাকে না টেনে বরং রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এই প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিকে সম্মান ও সহযোগিতা করা-নইলে রাষ্ট্র হারাবে তার কাঠামোগত ভারসাম্য।
লেখক: কলামিস্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক।
আরও পড়ুন: