শুক্রবার

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

দেশে বসে প্রকাশ্যে খু’নি হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নে শাওন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:১৭

আপডেট: ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:২৯

শেয়ার

দেশে বসে প্রকাশ্যে খু’নি হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নে শাওন
ছবি: সংগৃহীত

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা।

হাসিনা ও তার সহযোগীরা লেজ গুটিয়ে পালালেও রয়ে গেছে কিছু সুশীল নামধারী ফ্যাসিস্টের কিছু দোসর।

তাদেরই একজন কালচারাল ফ্যাসিস্ট নামে পরিচিত মেহের আফরোজ শাওন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে যিনি ছিলেন হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী, আর গণঅভ্যুত্থানের পর কৌশলে হাসিনারই সাফাই গাইছে এক সময়ে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

সোমবার ছিলো মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতের রায়ের দিন। এদিকে, হাসিনার রায়কে ঘিরে নভেম্বরের শুরু থেকেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা রাজধানীসহ দেশজুড়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালাচ্ছিল। ফলে, ক্ষোভে ফুলে ফেপে ওঠে জুলাইয়ের ছাত্রজনতা।

এসব ঘটনার পর হাসিনার রায়ের দিন সকালে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা দুটি বুলডোজার নিয়ে ফ্যাসিবাদের আতুরঘর তথা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবের বাড়িটির গুড়িয়ে দেয়ার উদ্দ্যেশ্যে রওয়না হয়। এসময় বিবিসি বাংলার প্রচারিত একটি ফটোকার্ড নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে মেহের আফরোজ শাওন লিখেছেন, মনের ভয়ই আসল ভয়, বুঝেছিস গাধার দল! বার বার ভেঙে, বারে বারে আগুন দিয়েও তোদের ভয় যায়নি। এই ভাঙা বাড়ির প্রতিটা ধূলিকণা যে বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে মিশে আছে, সেটাকে কিভাবে অস্বীকার করবিরে রাজাকার বাহিনী।

ওই পোস্টে শাওন হ্যাশট্যাগ হিসেবে দিয়েছেন, তুই রাজাকার, ধানমন্ডি ৩২।

এদিকে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি গুড়িয়ে দিতে যাওয়া ছাত্র-জনতার ওপর লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দিন গড়িয়ে রাত পর্যন্ত চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এতে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

এর আগেও হাসিনার পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকতে দেখা গেছে অভিনেত্রী শাওনকে। হাসিনার জন্মদিনে শুভেচ্ছা কিনবা মুজিবে হত্যার জন্য মায়াকান্না কোনোটিই বাদ রাখেনি শাওন৷ তবে, অদৃশ্য কারণে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে এই কালচারাল ফ্যাসিস্ট।



banner close
banner close