কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নির্মাণাধীন ২০০ একরের নতুন ক্যাম্পাসে শহিদ শরীফ ওসমান হাদীর নামে একটি আবাসিক হলের নামকরণের দাবি জানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোজাম্মেল হোসেন আবির।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে মোজাম্মেল হোসাইন আবির বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি ক্যাম্পাস, যেখানে জুলাই আন্দোলন যখন চারদিকে স্তিমিত হয়ে যাচ্ছিল, তখন এই ক্যাম্পাস থেকেই আগুনের দাবানলের মতো আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছিল। আমরা এই ক্যাম্পাস থেকেই ঘোষণা করতে চাই, নতুন ক্যাম্পাসে শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর নামে একটি হল দিতেই হবে। এটি আমাদের সকলের প্রাণের দাবি। প্রশাসনকে অবশ্যই এই দাবি মেনে নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা রাজপথে নামি, মিছিল করি। কিন্তু সেই মিছিলের মধ্যেই আমাদের প্রতিবাদ সীমাবদ্ধ থাকে। আজ গণ-অভ্যুত্থানের দেড় বছর পার হলেও আমরা দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখতে পাইনি। কুমিল্লার যেসব দোসর ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের চিহ্নিত করে দেখিয়ে দিয়েছিল এবং শিক্ষক নামধারী কিছু কুলাঙ্গার পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল দীর্ঘ ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।”
শিবির সেক্রেটারি অভিযোগ করে বলেন, "আমরা দেখেছি নিষিদ্ধ সংগঠনের দোসররা এখনো ক্যাম্পাসে বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করছে, যা জুলাই অভ্যুত্থানের পর হওয়ার কথা ছিল না। তখনই এসব সন্ত্রাসীদের বিচার হওয়া প্রয়োজন ছিল।”
সমাবেশে তিনি আরও বলেন, “এই ক্যাম্পাস থেকে আজ আমরা ঘোষণা করতে চাই, আগামীকাল থেকে কোনো সুশীলতা চলবে না। ক্যাম্পাসে যেসব নিষিদ্ধ সংগঠনের দোসর রয়েছে, প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
ক্যাম্পাস খোলার আগেই যদি দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারিও দেন তিনি।
আরও পড়ুন:








