রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বাংলা এডিশনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এম কে পুলক আহমেদ ও দৈনিক জনকণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে মামলার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৮তম সিন্ডিকেট সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাবিউর রহমান প্রধানের নিয়োগে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় সরকারি চাকরি বিধিমালা–২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।
একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করলেও উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী দাবি করেন, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এতে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।
তবে সাংবাদিকদের হাতে আসা সিন্ডিকেটের এজেন্ডা অনুযায়ী দেখা যায়, ১১৮তম সিন্ডিকেট সভার মোট ১৪টি এজেন্ডার মধ্যে ১১ নম্বর এজেন্ডায় উল্লেখ ছিল— গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক জনাব তাবিউর রহমান প্রধান ও জনাব মাহমুদুল হকের বিষয়ে ১১৩তম সিন্ডিকেটে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
নিয়ম অনুযায়ী সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তসমূহে উপাচার্যের স্বাক্ষরের কথা থাকলেও সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রায় ২০ দিন পার হলেও এসব সিদ্ধান্তে এখনো স্বাক্ষর করেননি তিনি।
এদিকে জানা গেছে, এ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একাধিক শিক্ষক উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওই বিষয়টি আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’ এ সময় সাংবাদিকের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো সব ভুয়া নিউজ। কোন সিন্ডিকেট সদস্য এসব তথ্য দিয়েছে আমি সব জানি। তোমার সম্পর্কেও সব জানি। তুমি আমাকে চেনো না এখনো, তোমাকে আমি দেখে নেবো। কোথায় চাকরি হয় সেটাও দেখে নেবো। নিউজের সত্যতা না থাকলে তোমার নামে মামলা করবো।’
এ বিষয়ে সাংবাদিক এম কে পুলক আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রের সংবেদনশীল তথ্য ছাড়া সকল তথ্য জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। সাংবাদিক হিসেবে আমি উপাচার্যের কাছে একটি বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে মামলার হুমকি দিয়েছেন। একজন উপাচার্য কোনো শিক্ষক বা সাংবাদিককে এভাবে হুমকি দিতে পারেন না। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
আরও পড়ুন:








