ঢাকা–আট আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, শোক ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় জুমার নামাজ শেষে উসমান হাদী সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হন। প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত এ ঘটনাকে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে দেখছে সংগঠনটি।
শনিবার সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক উম্মে হাবিবা সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, উসমান হাদি জুলাই অভ্যুত্থানের একজন অন্যতম যোদ্ধা। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর সাহসী ও দৃঢ় ভূমিকা অনস্বীকার্য। জুলাই অভ্যুত্থানের যে চেতনা, ভয়হীন মতপ্রকাশ, নাগরিক অধিকার এবং রাষ্ট্রীয় জবাবদিহির দাবি, তা জীবিত রাখতে তিনি ছিলেন সামনের সারির একজন কণ্ঠস্বর। এমন একজন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীর ওপর প্রকাশ্যে হত্যাচেষ্টা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর দুর্বলতার ইঙ্গিত বহন করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার। সহিংসতার মাধ্যমে এসব অধিকার দমন করার চেষ্টা কেবল একজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে নয়; বরং একটি গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। সংগঠনটির মতে, এ ধরনের হামলা জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনকে নস্যাৎ করার একটি অপচেষ্টা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, হামলার সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী ও নেপথ্য পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সহিংসতা রোধে রাজধানীসহ সারাদেশে কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানানো হয়।
এদিকে সংগঠনটি আহত উসমান হাদীর দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেছে। একই সাথে তারা জানিয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসমাজ এ ঘটনার বিষয়ে সচেতন, সংবেদনশীল এবং মানবাধিকারের প্রশ্নে অবিচল। রাষ্ট্র যদি নাগরিকের নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে জনগণ জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা থেকেই প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:








