রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন বয়কটে থাকা ঢাবি অধ্যাপক

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৩০

শেয়ার

বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন বয়কটে থাকা ঢাবি অধ্যাপক

জুলাই গণঅঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ. ক. ম. জামাল উদ্দিনকে বয়কট করে শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে শ্রেণি কার্যক্রমের বাহিরে জামাল উদ্দিন। ক্যাম্পাসে বন্ধে আজ বৃহস্পতিবার বিভাগে এলে একদল শিক্ষার্থীর ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়েছেন জামাল উদ্দিন। অধ্যাপক জামাল আওয়ামীপন্থী নীল দলের আলোচিত শিক্ষক এবং নেট দুনিয়াতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যক্রমেও সরব জামাল উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন একই বিভাগের আওয়ামীপন্থী নীল দলের শিক্ষক অধ্যাপক জিনাত হুদা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ভুত পরিস্থিতি ও শীতকালীন ছুটিতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলে, বিভাগ থেকে বয়কটে থাকা শিক্ষক অধ্যাপক আ ক ম জামাল ও জিনাত হুদাসহ কয়েকজন শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ যান। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে একদল শিক্ষার্থী সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে জড়ো হন।

এ সময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে অধ্যাপক আ ক ম জামালকে ধাওয়া দেওয়া হয় এবং নানাভাবে তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন জুবায়েব। জুবায়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী। ধাওয়া ও বাঁধা উপেক্ষা করে ভবন থেকে নীচে নেমে রাস্তায় চলে যান। এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা প্রাইভেট কারে করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

এই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে এবি জুবায়ের লিখেছেনন, ‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশ ফায়ার দিতে হবে’ বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আ কম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!

তিনি আরও লেখেন, ‘এরা চিহ্নিত খুনিদের দোসর। এদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কিভাবে পায়! প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে। খুনিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।’

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিভাগ থেকে বয়কটে রয়েছে আওয়ামী পন্থী নীল দলের এই শিক্ষক। কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন চলাকালীন আন্দোলনকারীদের জামায়াত-শিবির বলে সম্বোধন ও মামলার হুমকি দেওয়ার হুমকির অভিযোগ ওঠে। এরপরই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও বয়কটের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা। নানা সময়ে বেফাঁস মন্তব্যের কারণেও সমালোচিত অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। ’২৩ সালের ২২ মে এক মানবন্ধনে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে নির্বাচন ছাড়াই বর্তমান জাতীয় সংসদের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন।



banner close
banner close