সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ।
আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দলীয় সভা শেষে রাতে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন এমরান চৌধুরী। চারিয়া বাজার এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি চান্দের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফ। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করা হয়েছিল। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তিনি আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।
চবি ছাত্রদলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আরিফকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যায়। সর্বশেষ তাকে আজকে চট্টগ্রাম নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চমেকে নেওয়ার পর পরই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অল্প বয়সে এই তুখর মেধাবী ছাত্রনেতার মৃত্যুতে শোকাহত শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, “আরিফের মৃত্যু কোনভাবেই আমরা মেনে নিতে পারছি না। এটা আমাদের সাংগঠনিক শূন্যতা তৈরি করবে। আমরা হাসপাতালেই আছি। কথা বলার মত কোন পরিস্থিতিতে নেই।”
ছাত্রদল নেতা আরিফের মৃত্যুতে শোকের মাতম শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাঝে। আরিফের মৃত্যুতে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন চবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। তিনি বলেন, “আমরা কিছুক্ষণ আগেই জানতে পেরেছি আমাদের ছোট ভাই আরিফ মারা গেছে। সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। আমরা তাকে দেখার জন্য হাসপাতালের দিকে যাচ্ছি।”
আরও পড়ুন:








