সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

ক্রিকেট মাঠ থেকে জকসুর নির্বাচনী মাঠে সোহান

ফাহিম হাসনাত, জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:১৬

আপডেট: ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:১৮

শেয়ার

ক্রিকেট মাঠ থেকে জকসুর নির্বাচনী মাঠে সোহান
ছবি: বাংলা এডিশন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক খেলোয়াড় ফেরদৌস হোসেন সোহান। তিনি জাতীয় ছাত্রশক্তি সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান' প্যানেল থেকে ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ছাত্রশক্তি সমর্থিত 'ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান' প্যানেলটিতে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করছেন কিশোর আঞ্জুমান সাম্য। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ফয়সাল মুরাদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শাহীন মিয়া।

বাংলা এডিশনের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় ফেরদৌস হোসেন সোহান তাঁর বর্ণাঢ্য খেলোয়াড়ী জীবনের স্মৃতিগুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১২-১৩ সালের দিকে ৩য়/৪র্থ শ্রেণীতে পড়ার সময় ক্রিকেটের সাথে তার পথচলা শুরু। অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট কার্নিভালে 'প্লেয়ার অব দ্যা টুর্নামেন্ট' এবং 'সেরা ব্যাটসম্যান' হওয়ার পর তাঁর পেশাদার খেলোয়াড়ী জীবন শুরু হয়।

সোহান বয়সভিত্তিক দল, ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট কম্পিটিশন, এবং শিক্ষা বোর্ডের স্কুল ও কলেজ লেভেলের খেলায় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা ব্যাটসম্যানের খেতাব অর্জন করেন। বিকেএসপি'র ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামে উত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁর দলকে বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন করে তোলেন এবং অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলেও প্রতিনিধিত্ব করেন।

ছাত্রশক্তির প্যানেলে নির্বাচনের কারণ:

ছাত্রশক্তির প্যানেল থেকে নির্বাচনের কারণ প্রসঙ্গে সোহান বলেন, 'ছাত্রশক্তির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক হিসেবে আমি ইতোমধ্যে দায়িত্বরত আছি। তাছাড়া ঢাকার মোহাম্মদপুরে জুলাই আন্দোলনের সময় মূখ্য ভূমিকা পালন করি। অন্য দল থেকে নির্বাচন করার জন্যও অফার এসেছিল কিন্তু দল হিসেবে আমি আমার নিজের দল থেকেই নির্বাচন করবো এটাই স্বাভাবিক।'

শিক্ষার্থীরা যে কারনে তাকে ভোট দিবে:

নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে সোহান বলেন, 'হার জিত অবশ্যই আছে। তবে আমি বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীরা যোগ্য ব্যক্তিকেই জিতিয়ে আনবে। আমি এমন কোনো ইশতেহার দিব না যেটা অসম্ভব। সম্প্রতি আমি ক্লেমন প্রেজেন্টস শহীদ সাজিদ মেমোরিয়াল স্পোর্টস কার্নিভাল নামিয়েছি যেখানে ৮ টি ইভেন্ট ছিল। কম্বাইন্ড ইভেন্ট, ছেলে-মেয়েদের আলাদা ইভেন্ট ও শারীরিকভাবে যারা অক্ষম তাদেরও আলাদা একটা ইভেন্ট ছিল। এতে প্রায় ২,০০০ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেছিল।'

তিনি আরো বলেন, 'জগন্নাথে স্পন্সর আনা খুবই টাফ। সে হিসেবে স্পোর্টসের জন্য এত বড় একটা কোম্পানিকে আনা সহজ ছিল না। তবুও তাদেরকে কনভিন্স করে আনতে পেরেছি। আমি হারি বা জিতি, শিক্ষার্থীদের জন্য এরকম কাজ সবসময় করে যাব। আমি আশা করি আমার কাজ দেখে শিক্ষার্থীরা আমাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।'

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি:

সোহান শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, 'যা বলবো, তা বাস্তবায়ন করার সামর্থ্য রাখি। এমন একটি স্পোর্টস কালচার গড়ে তুলবো, যেখানে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। আপনারা এমন কাউকে প্রতিনিধি করবেন, যারা আপনাদের দু:সময়ে পাশে ছিল। আপনাদের জন্য কিছু করে তারপরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শুধু শুধু এরকম কিছু প্রতিশ্রুতি দিব না, যেটা কখনোই সম্ভব হবে না।'

প্রসঙ্গত, জাতীয় ছাত্রশক্তির প্যানেলের অন্যান্য পদে রয়েছেন: শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদকে মেহেরুন্নেসা হিমু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদকে মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদকে তারেক বিন সাবিত, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদকে জিহাদ ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদকে শাহিনুর, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদকে মো. রাতুল হাসান, পরিবহন সম্পাদকে মুশফিকুর রহমান, সমাজসেবা সম্পাদকে ফেরদৌস শেখ, পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তবে, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদটি জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অনিক কুমার দাসের সম্মানে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া প্যানেলটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন কামরুল হাসান রিয়াজ, সাজ্জাদ হোসাইন, হাসান মাহমুদ সাকিব, অর্ণা, জাবির খান, সজীব মৃধা ও কেয়ারুল ইসলাম।



banner close
banner close