নানা জটিলতায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একাডেমিক ভবন–৩-এর নির্মাণকাজ নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ঝোপঝাড়ে ঢেকে থাকা, মরিচা ধরা ও ক্ষতিগ্রস্ত এই ভবনটি এখন পরিত্যক্ত স্থাপনার মতো পড়ে আছে। শ্রেণীকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের নন-একাডেমিক ভবনে ক্লাস করতে হচ্ছে বছরের পর বছর।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) ২০২৫–২৬ অর্থবছরের ৬ষ্ঠ একনেক সভায় নোবিপ্রবির অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য ৩৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পটি পাস হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা ভবন–৩-এর নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ভবন–৩ ও কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়, যার চুক্তিমতো শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের মাঝামাঝি। ১১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার এই প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ৩১ কোটি টাকার বেশি উত্তোলন করে। কিন্তু কভিড পরিস্থিতির অজুহাত, ধীরগতির কাজ এবং জিকে বিল্ডার্সের মালিক জিকে শামিমের গ্রেফতার–সহ নানা ঘটনায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের অক্টোবরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাতিল করে।
দীর্ঘদিন ধরে ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ায় শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের খামখেয়ালিপনার সমালোচনা করেছেন। মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষার্থী ফেজবুক পোস্টে বলেন, নোবিপ্রবির দু:খ একাডেমিক ভবন - ৩ সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রজেক্টের ৩৩৪ কোটি টাকা একনেকে অনুমোদন উপলক্ষে নোবিপ্রবিতে ইনশাআল্লাহ মিষ্টির ব্যবস্থা হবে। সকলের দাওয়াত রইলো। এবং এখান থেকে একাডেমিক ভবন - ৩ এর কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবি তোলা।
বিশ্ববিদ্যালয় উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজুয়ানুল হক জানিয়েছে, নতুন ডিপিপি জমা দেওয়া হয়েছিল এবং আজকের একনেক অনুমোদনের মাধ্যমে নতুনভাবে নির্মাণকাজ শুরুর পথ খুলেছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনসহ গবেষণায়ও গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়ার বিষয়ে উপ উপাচার্য বলেন, এটি বিবেচনাধীন রয়েছে আমরা চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন:








