খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মূল ফটকে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় কাজী সাদিক মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে স্ট্রিট পেইন্টিং ও স্টলের জায়গা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে কুয়েটের মেইন গেট সংলগ্ন ভর্তি পরীক্ষার স্ট্রিট পেইন্টিং ও স্টলের জায়গা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী সাদিক মাহমুদ ও একই ব্যাচের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জহিরুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে সাদিক মাহমুদ তার হাতে থাকা কাটার দিয়ে জহিরুল ইসলামের পেটের বাম পাশে পোচ দেয়।
আহত জহিরুল ইসলামকে তার সহপাঠীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাকসুদ হেলালী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, হল প্রভোস্ট, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান ও নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক জরুরি সমন্বয় সভা করে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী সাদিক মাহমুদকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত সাময়িক বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র কাজী সাদিক মাহমুদ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জহিরুল ইসলামকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী সাদিক মাহমুদকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে। বিষয়টি পূর্ণ তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথারীতি ব্যবস্থা গ্রহণ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:








