৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পিছিয়ে যৌক্তিক প্রস্তুতির সময় দেয়ার দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ করেছে প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুর থেকে খুলনা দৌলতপুর রেলপথ অবরোধ করে অবস্থান নেন শত-শত পরীক্ষার্থী। সন্ধ্যায় তারা এডমিট পোড়ানো কর্মসূচি পালন করে। তাদের দাবিতে ইতোমধ্যে খুলনার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এবার লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে কম। প্রথমবার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের সামনে ১১’শ নম্বরের বিশাল সিলেবাস অথচ হাতে মাত্র দুই মাস। তাদের ভাষায়, এটা শুধু চাপ নয়, এটা বৈষম্য।
তারা আরও বরেন, আমরাও চাই মেধার প্রতিযোগিতা। কিন্তু প্রস্তুতির সুযোগ কোথায়? মাত্র দুই মাসে এ সিলেবাস শেষ করা প্রায় অসম্ভব। এতে অনেকেই মানসিক চাপের মধ্যে পড়ছেন, কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের অভিযোগ “যথেষ্ট সময় না দিলে প্রকৃত মেধাবীরা ন্যায্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না।
উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এ সময় রেলপথে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে চরম ভোগান্তি দেখা দেয়।
প্রতিবাদকারীরা স্লোগান তুলে বলেন, “সময় চাই সময় চাই, যৌক্তিক সময় চাই”, “সবাই পায় ছয় মাস, আমরা কেন দুই মাস?” “এক দুই তিন চার, পিএসসি স্বৈরাচার”।
কেউ বই নিয়ে এসেছে, কেউ হাতে প্ল্যাকার্ড, আর সবার চোখে একই দাবি লিখিত পরীক্ষার তারিখ পেছানো।
রেল কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। পিএসসির কাছে শিক্ষার্থীদের একটাই আবেদন, যৌক্তিক সময় দিন মেধার সঠিক মূল্যায়ন হোক।
আরও পড়ুন:








