রবিবার

২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩ পৌষ, ১৪৩২

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে চবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:৪০

শেয়ার

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে চবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ছবি: বাংলা এডিশন

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের উদ্যােগে আলোচনা সভা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স অনুষদ অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ও চবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল আমিন, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানসহ জাতীয়বাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চবির প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রভোস্ট এ. জি. এম. নিয়াজ উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে ২টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। ৭ নভেম্বর: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

প্রবন্ধে তিনি বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমানের মাধ্যামে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সূচনা হয়। যার উত্তরসূরী হিসেবে আমরা এখনো কাজ করছি। ৭ নভেম্বরের মাধ্যামে শহীদ জিয়া নতুন সম্ভাবনার সূচনা করেন।”

৭ নভেম্বর থেকে ৫ই আগস্ট: অভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবি শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (চাকসু) এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। প্রবন্ধে তৌফিক বলেন, “জনতা এবং সেনার সমষ্টিতে একটি জাতির আকাঙ্খা প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব এবং ২৪ এর ৫ই আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। ২৪ সালের আমরা যে সংস্কার প্রস্তাবনা দিচ্ছি তার বীজরোপন করেছিল শহীদ জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা ছিল।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, “অনেকেই জুলাই আন্দোলকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলেন। এগুলো বাংলাদেশের সাথে বিরোধিতা করার সামিল। বাংলাদেশে একবারই স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে এবং সেটি হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধ।”

তিনি আরও বলেন, “ভিন্ন কোনো দেশের সাথে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করা আর দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট বিতাড়িত করা এককথা নয়। কারণ বাংলাদেশে অনেকবার ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী আন্দোলন হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছে। এটির সাথে জুলাই আন্দোলনকে তুলনা করা যায় না।”

মীর হেলাল আরও বলেন, “যারা বলে বাংলাদেশে ২য় স্বাধীনতা কিংবা তৃতীয় স্বাধীনতা হয়েছে তারা দেশকে পথভ্রষ্ট করতে চাই। দেশে অরাজকতা করে কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।”



banner close
banner close