ভূমিকম্পের কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানি হলের নিচ তলার কর্নারে ওয়াশরুমের দেয়ালে ফাটল ধরার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে সংঘটিত ভূমিকম্পে হল ভবনের কয়েকটি অংশে ফাটল ধরে সিমেন্টের আস্তরণ খসে পড়ে। তবে ঘটনাস্থলে কেউ আহত হয়নি বলে জানিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুমাইয়া আফরিন সানি।
এর আগে এদিন সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ঢাকার পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন জেলাতেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়, যা মুহূর্তেই সারাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে মানুষজনকে রাস্তায় নেমে আসতে দেখা যায়।
নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তাসমিয়া ফারিন বলেন, ‘রুমে বিছানার ওপর বসে ছিলাম, হঠাৎ কম্পন অনুভব হওয়ায় পাশের রুমমেটকে বললাম, “ভূমিকম্প হচ্ছে।” সে প্রথমে বিশ্বাস করল না। কিছুক্ষণ পর জোরে কম্পন শুরু হলো। তখন আশেপাশের কিছু জিনিস ভেঙে পড়ার মতো তীব্র শব্দ হতে লাগল। হলের যেই রুমে আমি থাকি সেটার পাশের ১০৩ নং রুমে, পাশে ওয়াশরুমের অবস্থা দেখে আমি আরও ভয় পেয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি দেয়ালে বড়ো বড়ো ফাটল ধরে গেছে। আমার মনে হচ্ছে এটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা যেখানে আমরা থাকছি। প্রশাসনের এই বিষয়ে জরুরি উদ্যোগ নেওয়া দরকার। জীবন ঝুঁকিতে রেখে থাকা অসম্ভব হবে।
নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুমাইয়া আফরিন সানি বলেন,‚ ভূমিকম্প সারা দেশেই হয়েছে। আমি যেখানে থাকি আশেপাশের অনেক ভবনেরই পলেস্তরা খসে পড়েছে। ভূমিকম্পনের মাত্রাটা এবার একটু প্রকট ছিলো। অনেক জায়গায়ই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ফয়জুন্নেসায়ও হয়েছে, এগুলো আসলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এগুলো আকস্মিক ঘটে, এগুলো নিয়ে বলার কিছু নাই। আসলে আমরা কেহই বাস্তবতার ঊর্ধ্বে না। এখন যদি বলা হয় এই ভবনগুলো চেইঞ্জ করে ওয়েল ফার্নিশড ভবন আনতে, সেটা তো সম্ভব না। তাও প্রতিবছর আমরা চেষ্টা করি সংস্কার করার। তাছাড়া নতুন ক্যাম্পাস চালু করলে আর তেমন সমস্যা থাকবে না।
আরও পড়ুন:








