শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

নির্ধারিত সময়েই শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছাবে: এনসিটিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর, ২০২৫ ০৯:৫৮

শেয়ার

নির্ধারিত সময়েই শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছাবে: এনসিটিবি
ছবি: সংগৃহীত

২০২৬ শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানো সম্ভব হবে। সেজন্য শেষ সময়েও জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও বিতরণের প্রতিটি ধাপে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এনসিটিবি নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রমও পরিচালনা করছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিটিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নিজেদের তদারকির পাশাপাশি নিরপেক্ষ ইন্সপেকশন ফার্ম (পিডিআই) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিশেষ মনিটরিং টিমও মাঠপর্যায়ে প্রতিদিন নজরদারিতে যুক্ত রয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে মালিকরা পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের ক্ষেত্রে কিছু কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন এবং তা সমাধানের অনুরোধ জানান। তাদের মতে, এসব সমস্যা দূর করা গেলে মুদ্রণবাঁধাই প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে এবং নির্ধারিত সময়েই বই সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।

পরে এসব সমস্যার সমাধানে গত ১৮ নভেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা দেশের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এক হাজারের বেশি কর্মকর্তার সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভা করেন। সেখানে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বই গ্রহণ, নিরাপত্তা ও বিতরণব্যবস্থা নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, আজও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এনসিটিবি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সভার আলোচনা সম্পর্কে তিনি জানান, মুদ্রণ মালিকরা সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুসরবরাহ নিশ্চিত করা, বই পরিবহনসংরক্ষণে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়া এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মাঠপর্যায়ে বই গ্রহণের ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছেএকইসাথে পাঠ্যপুস্তক সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত জায়গার প্রয়োজনীয়তাও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে

এমন অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে দেশের সকল শিক্ষার্থীর হাতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে বলেও এনসিটিবির পক্ষ থেকে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।



banner close
banner close