সংগৃহীত ছবি
টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র্যাংকিংয়ে বিশ্বে ৫২তম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এবং বাংলা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান জায়গা দখল করেছে ঢাবি। এতে সবমিলিয়ে স্কোর দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৮। একই স্কোরে একই স্থানে জায়গা দখল করেছে হংকংয়ের হংকং ব্যাপিস্ট ইউনিভার্সিটি।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এবারের র্যাংকিং প্রকাশ করেছে টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)। এবারের র্যাংকিংয়ে দেখা যায়, দেশের ১২টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পেয়েছে। র্যাংকিংয়ে দেশের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, তার অবস্থান বিশ্বে ৩০১-৩৫০ এর ভেতরে, স্কোর ৪৩-৩ থেকে ৪৫.২ এর মধ্যে এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, তার অবস্থান বিশ্বে ৩৫১-৪০০, স্কোর ৪১.২ থেকে ৪৩.২ এর মধ্যে।
এছাড়া যথাক্রমে চতুর্থ থেকে ১০তম অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অবস্থান যৌথভাবে ৪০১-৫০০, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যৌথভাবে ৫০১-৬০০, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যৌথভাবে ৬০১-৮০০। এছাড়া ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে রিপোর্টার হিসেবে স্থান পেয়েছে।
শীর্ষ জায়গা হারিয়েছে দেশের তিন বিশ্ববিদ্যালয়
গেল বছর নভেম্বর প্রথমবারের মতো ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র্যাংকিং ২০২৫ প্রকাশ করেছিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা শিক্ষা সাময়িকীটি। সেই বছরে বাংলাদেশ থেকে ৪২.৬ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম, ৩৭.১ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) দ্বিতীয় এবং ৩৪.৮ পয়েন্ট নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) তৃতীয় অবস্থান দখল করে। এবার রাবি শীর্ষ অবস্থান ছেড়ে, শীর্ষ দুইয়ে অবস্থান পেয়েছে এবং বাকি দুই বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ তিনে অবস্থান নেই। তবে এবারের র্যাংকিংয়ে তাদের স্থান পিছিয়েছে। দেখা যায়, যবিপ্রবি ৫ম অবস্থানে এবং ৮ম অবস্থানে রয়েছে চবি।
উল্লেখ্য, টাইমস হায়ার এডুকেশন ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবদানকে ইনপুট (অর্থায়ন), প্রক্রিয়া (সাফল্যের পরিমাপ, সুযোগ-সুবিধা, প্রশাসনিক সহায়তা এবং প্রচার) এবং আউটপুট প্রকাশনা, গবেষণার মান এবং খ্যাতি) এই তিন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে। টিএইচই-এর মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ১১টি কর্মক্ষমতার সূচক বিবেচনা করা হয়। র্যাংকিংয়ে বিশ্বের ৯৪টি দেশের ৯১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে।
এবারের র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ৩ স্থানে অবস্থান পেয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্স ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।
আরও পড়ুন:
