শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

চীনের অর্থায়নে চবিতে চালু হচ্ছে কনফুসিয়াস সেন্টার

চবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৫

আপডেট: ২০ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:২১

শেয়ার

চীনের অর্থায়নে চবিতে চালু হচ্ছে কনফুসিয়াস সেন্টার
ছবি: বাংলা এডিশন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চীনের অর্থায়নে স্থাপিত হতে যাচ্ছে কনফুসিয়াস সেন্টার। আগামী এক বছরের মধ্যে সম্ভাব্য অক্টোবর মাসের মধ্যে পুরাতন কলা অনুষদের পাশে স্থাপিত হবে এ সেন্টার।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার বিষয়টি জানান।

চুক্তি অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট স্থাপনের লক্ষ্যে ০.৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানের আওতায় চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির পাঠদান ছাড়াও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়াও চীনা ভাষা শিক্ষা, গবেষণা কার্যক্রম, বৃত্তি ও উচ্চশিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি এ তিনটি মূল ফোকাসে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, "চীনা সরকার ও দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। দেশ হিসেবে আমরা এ উদ্যোগ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবো। যদিও কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে নতুন নয়, তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন হতে যাওয়া ইনস্টিটিউটটি হবে ভিন্নমাত্রার। এখানে বাংলার পাশাপাশি চীনা ভাষা শিক্ষা চালু হবে এবং তিনটি মূল ফোকাসে কার্যক্রম পরিচালিত হবে চীনা ভাষা শিক্ষা, যৌথ গবেষণা কার্যক্রম,বৃত্তি ও উচ্চশিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আগেই এই ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করেছে এর পাশাপাশি সম্ভবত আরেকটি কেন্দ্রও চালু রয়েছে। এর আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুইজন প্রতিনিধি গিয়েছিলেন, তবে তারা কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারেননিএবারে যে চুক্তিটি হয়েছে, তার মাধ্যমে শুধু চীনা ভাষা শেখানোই নয় আমরা চীনা নাগরিকদের বাংলা ভাষাও শেখাবোএখানে তারা নিজেদের অর্থায়নে অবকাঠামো নির্মাণ করবে, আর আমরা শুধু জায়গা প্রদান করবো।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য তিন পক্ষের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছেএর আগে দুই পক্ষের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা হলেও এবার চীনা সরকারের প্রতিনিধিরা যুক্ত হওয়ায় এটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে রূপ নেয়

তিনি আরও বলেন, "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট স্থাপনের লক্ষ্যে ০.৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানের আওতায় চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির পাঠদান ছাড়াও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ লক্ষ্যে পৃথক ক্লাসরুম ও অফিস কক্ষ নির্মাণ করা হবে। ইনস্টিটিউট পরিচালনায় ১২ সদস্যের একটি বোর্ড অব ডিরেক্টরস গঠন করা হবে, যার মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন প্রতিনিধি থাকবেন। ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে চীনা ও বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির পারস্পরিক আদান-প্রদান আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।"

উল্লেখ্য,এর আগে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে চীন সরকারের আমন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেইজিং শহরে যায়।

কনফুসিয়াস সেন্টার মূলত চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষা, শিক্ষার্থী বিনিময়, গবেষণা সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রসারে কাজ করে থাকে।



banner close
banner close