শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫ পৌষ, ১৪৩২

জবি ছাত্রদলের সমালোচনা করায় কর্মীকে শোকজ

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৪

শেয়ার

জবি ছাত্রদলের সমালোচনা করায় কর্মীকে শোকজ
ছবি: বাংলা এডিশন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের গঠনমূলক সমালোচনা করায় সংগঠনের কোনো পদে না থাকা কর্মী ইসরাফিল আলম রাফিলকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে রবিবার (১৬ নভেম্বর) জবি ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এ নোটিশ দেয়া হয়।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের নির্দেশনায় দপ্তর সম্পাদক মো. মোজাম্মেল মামুন ডেনির স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, প্রাথমিক সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ইসরাফিল আলম। এ বিষয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের উপস্থিতিতে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দিতে হবে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরাফিল আলম রাফিল বলেন, তিনি ছাত্রদলের কোনো পদেই নেই। তাই পদবিহীন একজন কর্মীকে শোকজ করা ‘সাংগঠনিক অদক্ষতার’ পরিচয়।

তিনি বলেন, 'দলের স্বার্থে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা নীতিগত মতামত দেওয়া কখনোই শৃঙ্খলা ভঙ্গ নয়; বরং এটি সংগঠনের উন্নতির অংশ।'

ইসরাফিল আরও বলেন, '২০১৮ সালে প্রথম বর্ষে পড়ার সময় ছাত্রলীগের হাতে টানা দুই–তিন ঘণ্টা জবি লাল বাসের দ্বিতীয় তলায় নির্যাতনের শিকার হয়েছি। রক্তাক্ত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকিও পেয়েছি। অথচ জবি ছাত্রদলের ঘোষিত ৪৫৫ সদস্যের কমিটিতে ছাত্রলীগ–শিবির, বিবাহিত, চাকরিজীবী—সবাই স্থান পেয়েছে। ৫ আগস্টের পর যাদের বড় নেতা বানানো হলো, তাদের বিচারে আমাকে ‘প্রাথমিক সদস্য’ বলা হচ্ছে! কারণ দর্শানোর নোটিশ কখন, কেন এবং কোন অবস্থায় দেওয়া হয়—তা কি তারা জানেন?'

আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সংগঠনের মনোনয়ন নিয়ে মতপ্রকাশ করায় তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'জকসুর শীর্ষ পদে অন্য সংগঠনের কাউকে না দিয়ে নিজ সংগঠনের যোগ্যদের মনোনয়ন দেওয়ার পরামর্শই যদি ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গ’ হয়, তবে তা গঠনতত্ত্বের চেতনাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। কারণ ছাত্রদল গঠনতত্ত্বের অনুচ্ছেদ–৩০-এ স্পষ্ট বলা আছে, সংগঠনের উন্নতির স্বার্থে গঠনমূলক আলোচনা ও আত্মসমালোচনা জরুরি।'



banner close
banner close