শনিবার

১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১ অগ্রাহায়ণ, ১৪৩২

৪৯তম বিসিএসে ক্যাডার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী

কুবি, প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯

শেয়ার

৪৯তম বিসিএসে ক্যাডার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) প্রকাশিত ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল এবং ৪৪তম বিসিএসের সংশোধিত ফলাফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পাঁচ শিক্ষার্থী বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৯তম বিসিএসে চারজন এবং ৪৪তম বিসিএসে একজন শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছেন।

মঙ্গলবার পিএসসি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ৬৬৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন পান, যাদের মধ্যে কুবির ৫ শিক্ষার্থী স্থান করে নিয়েছেন।

তারা হলেন, গণিত বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. অলি উল্লাহ, বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুসাহিদ আহমেদ, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরজিনা আক্তার, রসায়ন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ভূঁইয়া এবং আইসিটি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন মজুমদার।

৪৯তম বিসিএস (বিশেষ)-এ শিক্ষা ক্যাডারের গণিতে মেধাক্রমে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন অলি উল্লাহ, যিনি সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা। প্রভাষক (বাংলা) পদে প্রথম কুবিয়ান ক্যাডার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার লালচাঁন্দ গ্রামের মুসাহিদ আহমেদ। অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আরজিনা আক্তার শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন; তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার দরিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। রসায়ন বিভাগের মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ভূঁইয়া শিক্ষা ক্যাডার (রসায়ন) পদে মনোনীত হয়েছেন; তিনি কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা।

এছাড়া, ৪৪তম বিসিএসের সংশোধিত ফলাফলে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসন্ডা গ্রামের সন্তান আরাফাত হোসেন মজুমদার পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে স্থান পেয়েছেন।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মো. অলি উল্লাহ বলেন, “বাবা-মা, বোন, শিক্ষক, সহপাঠী, সিনিয়র-জুনিয়র সবার দোয়া, আমার পরিশ্রম আর আল্লাহর রহমতেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।” বিসিএস প্রত্যাশীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “সবচেয়ে বড় শর্টকাট হচ্ছে সবচেয়ে বেশি পড়া। কারণ বিশাল সিলেবাস আর লাখো প্রতিযোগীর মধ্যে নিজেকে আলাদা করতে হলে প্রচুর জানতে হবে। শর্টকাট সাজেশনে ভরসা রাখলে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

মুসাহিদ আহমেদ বলেন, “সংকট থেকেই অদম্য হওয়ার শক্তি পাই। কঠোর পরিশ্রমকে আপন করে নিয়েছি, কারণ বিশ্বাস করি, পরিশ্রমীরা কখনো হারেনা। অভাব, অপ্রাপ্তি, অপূর্ণতাই আমাকে সামনে এগিয়ে দিয়েছে; এগুলোই আমার সাহস ও শক্তি।

আরজিনা আক্তার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, "বিশ্বাস ছিল পারব। তাই সব কিছু বাদ দিয়ে শুধু বিসিএস কেন্দ্রিক পড়াশোনা শুরু করি। আল্লাহ আমাকে নিরাশ করেন নি। হাজার হাজার শুকরিয়া, আল্লাহ অশেষ নিয়ামত দান করার জন্য। সৃষ্টিকর্তার প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নিজের ছোটকালের লালায়িত স্বপ্নকে ছুতে পারার অনুভূতি সত্যি ই অসাধারণ।

নিজের অনুভূতি জানাতে মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “আল্লাহর অশেষ রহমত আর আমার বাবা-মায়ের দোয়ায় ক্যাডার হতে পেরেছি। ধৈর্যের সাথে সঠিক পদ্ধতিতে পরিশ্রম করেছি, নিজের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো উত্তরণের চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি, পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। God helps him, who helps himself।

অন্যদিকে, আরাফাত হোসেন মজুমদার বলেন, “বিসিএস ক্যাডার হওয়া আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। এই স্বপ্ন পূরণের পেছনে অধ্যবসায়, পরিকল্পনা ও নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন আমার বাবা, যিনি আমার শিক্ষার ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিলেন।



banner close
banner close