ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাস জুড়ে ডাকসু-হল সংসদের প্রতিনিধি, ছাত্রদলসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস জুড়ে বিক্ষোভ করেন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ৯টা ২১ মিনিটের দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশ থেকে টিএসসির চা দোকান সংলগ্ন পরপরই দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এ ঘটনায় একজন পথচারী ও পাশে থাকা এক মোটর সাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেলের মালিক নাজমুস সাকিব বলেন, আমি পাশে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি ককটেল ছুটে এসে এখানে পড়ে এবং আমি কিছুটা হকচকিয়ে উঠি। পরক্ষণেই বাইকের কাছে এসে দেখি বাইকের তেলের ট্যাংকি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তাহমিদ আল মুদ্দাসিসর চৌধুরী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট ও দেশবিরোধী চক্র আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে। ১৩ নভেম্বর খুনি হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টির চক্রান্তের অংশ হিসেবেই এটি ঘটানো হয়েছে।’
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাস জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করে। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাকসু ও হল সংসদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ হয়। এসময় তারা ‘ছাত্রলীগের গুণ্ডারা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘দিল্লির দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘খুনি লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশনসহ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:








