রবিবার

২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩ পৌষ, ১৪৩২

নয় দফা দাবিতে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান

পাবিপ্রবি, প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫২

শেয়ার

নয় দফা দাবিতে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান
ছবি: বাংলা এডিশন

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) চলমান সমস্যা সমাধানের লক্ষে ৯ দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।

শিক্ষার্থীদের ৯ দফার মধ্যে রয়েছে-

১. ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনের দোকানগুলোতে নিয়মিত বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা।

২. শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতি, বিনোদন ও মিলনস্থল হিসেবে টিএসসি দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্মুক্ত করার ব্যবস্থা করা।

৩. ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধির স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো।

৪. প্রধান ফটকের প্রাচির সংলগ্ন খাল পরিষ্কার করা এবং সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৫. শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা ও খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য স্থায়ীভাবে একাধিক ব্যাডমিন্টন ও ভলিবল কোর্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

৬. মন্দিরের সামনের মাঠকে সংস্কার করে খেলাধুলার উপযোগী করা।

৭. বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের চলমান সমস্যা (জায়গা সংকট, এসি সংকট, ফ্যান সংকট) সমাধান করে ধর্মীয় পরিবেশ উন্নত সাধন করা।

৮. সেমিস্টার ফি জমা দেওয়ার জন্য অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করা।

৯. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নামফলক সংযুক্ত করে প্রধান ফটকের সৌন্দর্য বর্ধন করা।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ, একাধিক ব্যাডমিন্টন ও ভলিবল কোর্ট, জিমনেসিয়াম, অনলাইনে সেমিস্টার ফি জমা দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, প্রধান ফটকে নামফলক বসানো সহ একাধিক বিষয়ে আমরা আজকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। এই দাবিগুলোর মধ্যে গেটের সামনের দোকানগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টিও উল্লেখ আছে। আমরা দেখতে পাই রাতের বেলা কোনো শিক্ষার্থী হল ডাইনিং বা ক্যাফেটেরিয়াতে খাবার খেতে ব্যর্থ হলে তাকে শহরে বা টার্মিনালে খাবারের জন্য যেতে হয়, যেটা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। তাই আমরা চাই শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গেটের সামনের দোকানগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করুক। এছাড়াও টিএসসি চালু না হওয়াতে বিভিন্ন বিভাগের অনুষ্ঠানগুলো খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। আমরা দাবি জানিয়েছি অতিদ্রুত টিএসসি খুলে দিতে হবে। এছাড়াও আমরা মোট ৯ দফা দাবি জানিয়েছি। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এই দাবিগুলোর বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী কে. এম. তরিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সমস্যা সমাধানের লক্ষে আজকে আমরা রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। স্মারকলিপির অনুলিপি ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছের যাবে। আশা করি তারা আমাদের এই দফাগুলো আমলে নিয়ে অতিদ্রুত এগুলোর বাস্তবায়ন করবেন। প্রশাসন যদি এই দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না করেন আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করে আমাদের দাবি আদায় করে নিতে বাধ্য হব।



banner close
banner close