সোমবার

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩ পৌষ, ১৪৩২

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

শেকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৫২

শেয়ার

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রদল নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছাত্রদল কর্মী সাদমান সাকিবের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, ব্ল্যাকমেইল, ও আর্থিক কেলেঙ্কারির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী।

অভিযোগ রয়েছে, শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদের নাম ব্যবহার করে সাদমান সাকিব রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এবং তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিয়েছেন।

ফ্যাকাল্টি অব এগ্রিকালচারের লেভেল-এক এর এক নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগে জানান, ‘সাদমান সাকিব আমাকে একাধিকবার প্রেমের প্রস্তাব দেন। আমি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি আমাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টা করেন এবং ক্যাম্পাসে আমার সম্পর্কে মিথ্যা গুজব ছড়ান।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে একাধিক মেয়ের অনুমতি ছাড়া অশ্লীল ছবি তুলতেন এবং সেগুলো দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করতেন। এতে অনেক শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতা ও মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছেন।

যৌন হয়রানির পাশাপাশি সাদমান সাকিবের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ থাকা অবস্থায় তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত প্রায় ২২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি স্বীকার করেন যে, এই টাকা নিজের বড় ভাইকে দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নিজের সুবিধামতো ক্লাস নেয়া বা বাতিল করতেন এবং সহপাঠীদের নামে নানা অপপ্রচার চালাতেন।

একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে সাদমান সাকিবকে দ্রুত বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছিলেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত সাদমান সাকিবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আরফান আলী বলেন, ‘আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রশাসন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।’



banner close
banner close