চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের পর ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনিও অভিযোগ তুলেছেন ভোট শেষে ভোটারের হাতের আঙুলে দেয়া কালি মুছে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছিলো, এমন কালি ব্যবহার করা হবে যা কয়েক দিনেও মুছে ফেলা যাবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের আঙুলের কালি কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে। নির্বাচনের শুরুতেই এটি শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় নির্বাচনে জার্মান থেকে কালি আনা হয়। ব্যবহারের পর বাকিটা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আমাদের নির্বাচনে সেই কালি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তবে দেশের সবচেয়ে ভালো যে কালি, সেটি দেওয়া হয়েছে। চাকসু নির্বাচনে এই কালি ব্যবহার জরুরি না, নিয়ম রক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে। ভোটারের আইডি কার্ড, ভোটার নম্বর ও ভোটার তালিকায় থাকা ছবি সংবলিত তথ্যের মাধ্যমে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এর আগে একই বিষয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন ছাত্রদলের প্রার্থীরা। চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, কথা ছিলো শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া কালি মুছবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কালি মুছে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষ। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়ছেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন।
আরও পড়ুন:








