সোমবার

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩ পৌষ, ১৪৩২

বহুল প্রতীক্ষিত চাকসু নির্বাচন বুধবার, ক্যাম্পাসজুড়ে কড়া নিরাপত্তা

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:১১

আপডেট: ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:২৯

শেয়ার

বহুল প্রতীক্ষিত চাকসু নির্বাচন বুধবার, ক্যাম্পাসজুড়ে কড়া নিরাপত্তা
ছবি: বাংলা এডিশন

দীর্ঘ ৩৫ বছর বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাকসু নির্বাচন। চবিয়ানদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের প্রধান প্লাটফর্ম চাকসু। এখান থেকেই যুগে যুগে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সাধারণ মানুষকে পথ দেখিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মাত্র ছয় বার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের আট ফেব্রুয়ারি।

ইতিমধ্যে ভোটের দিনের নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে এসব নির্দেশিকা প্রকাশ করে চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন।

ভোটারদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত প্রবেশপয়েন্ট যেমন: কাটা পাহাড় (বাণিজ্য অনুষদের সামনে), তিন নং গোডাউন (প্রফেসর ইউনুস ভবনের পূর্বপাশে), শহীদ মিনারের দক্ষিণের আর্চওয়ে (লেডিস ঝুপড়ির সামনে) ব্যবহার করতে হবে।

নির্দিষ্ট ভবনের সামনের ব্যারিকেডে ভ্যালিড আইডি কার্ড দেখিয়ে মূল ফটক পার হতে হবে; ভোটারদের চাকসুর ওয়েবসাইট থেকে আগে থেকেই নিজের ভোট কক্ষের নাম ও কেন্দ্রের অবস্থান জেনে নিতে হবে; প্রার্থীরা নিজ হলের কেন্দ্রে নিয়মমাফিক ভোট দেওয়ার পর পুনরায় নির্বাচনি কেন্দ্রে (বহিঃস্থ ব্যারিকেডের ভেতর) প্রবেশ করতে পারবেন না; কক্ষে প্রবেশের পর আইডি কার্ড ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখার পর নির্বাচন কর্মকর্তা স্বাক্ষর করে মোট পাঁচটি ব্যালট পেপার প্রদান করবেন।

ভোট প্রদানের বিষয়ে বলা হয়, ব্যালট-এক থেকে ব্যালট-চার কেন্দ্রীয় চাকসু নির্বাচনের জন্য এবং ব্যালট-পাঁচ নিজ নিজ হল সংসদের নির্বাচনের জন্য।

পাঁচটি ব্যালট নিয়ে নির্ধারিত গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে হবে এবং কক্ষে রাখা নির্ধারিত পেন ব্যবহার করে পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশের বৃত্ত সম্পূর্ণভাবে ভরাট করতে হবে।

প্রতিটি পদের জন্য সাধারণত একটি করে বৃত্ত ভরাট করতে হবে; চাকসুতে নির্বাহী সদস্য পদে সর্বোচ্চ পাঁচটি, হল সংসদে সর্ব্বোচ্চ তিনটি এবং হোস্টেল সংসদে সর্ব্বোচ্চ তিনটি ভোট প্রদান করা যাবে; কোনো পদের জন্য নির্ধারিত সংখ্যার বেশি বৃত্ত ভরাট করলে শুধুমাত্র সেই পদের ভোটটি বাতিল হবে; অন্যান্য পদের ভোট বৈধ থাকবে; ব্যালট জমা দেয়া ও কেন্দ্র ত্যাগ করতে হবে; ভোট সম্পন্ন করার পর গোপন কক্ষ থেকে বের হয়ে নিজ হাতে নির্দিষ্ট ব্যালটবাক্সে ব্যালট ফেলতে হবে।

ভোটগ্রহণ চলাকালীন সময়ে নির্বাচন কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্ট, রোভার স্কাউট ও নিরাপত্তা সদস্যদের প্রতি অনুশাসিত ও সুশৃঙ্খল আচরণ করার অনুরোধ জানানো হলো; কেন্দ্রের ভিড় কম থাকলে নিজ হলের ভোটাররা আইডি কার্ড ও অফিসিয়াল ড্রেস দেখিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে লাইন ছাড়া ভোট দিতে পারবেন; ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কোনো রকম চাপ, প্রলোভন বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর বলয়ে সাজিয়েছি আমাদের পুরো ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা কোনো দ্বিধাদ্বন্দ ছাড়ায় ভোট প্রদান করতে পারবে।’



banner close
banner close