সোমবার

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪ পৌষ, ১৪৩২

ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ধস্তাধস্তির প্রতিবাদে দেশের সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৫৬

শেয়ার

ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ধস্তাধস্তির প্রতিবাদে দেশের সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি
ছবি: বাংলা এডিশন

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ সমন্বয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন২০২৫ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা শুরুর প্রস্তুতির সময় ঢাকা কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করে সারাদেশের সকল সরকারি কলেজে আগামীকাল সোমবার কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা কলেজের শহীদ আ.ন.ম নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামের এ ঘটনার প্রতিবাদে সাত কলেজ শিক্ষকদের নিয়ে আনুষ্ঠিত তাৎক্ষণিক এক সভা থেকে এ ঘোষণা দেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।

তিনি বলেন, ‘আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজ শিক্ষকদের ও নিয়মিত ছাত্রদের উপর হামলা ও টিচার্স লাউঞ্জে ভাঙচুরের প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকল সরকারি কলেজ ও অন্যান্য অফিসে অবস্থান করে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। আগামী ১৫ অক্টোবরের পরে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বা আহ্বায়ক কমিটিসহ ঢাকাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি কি হবে তা ঘোষণা করা হবে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আইন-২০২৫ এর খসড়া হালনাগাদ করে দ্রুত চূড়ান্ত অধ্যাদেশের দাবিতে শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অবস্থান নিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

একই সময় শিক্ষকরাও সেখানে অবস্থান করলে তাদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে এক শিক্ষার্থী ‘দালাল বললে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক সভায় বসে সাত কলেজের শিক্ষকেরা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাত কলেজ স্বতন্ত্র রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এইদিন কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তৌহিদুর রহমান কলেজে অবস্থানকারী শিক্ষা ভবনের দিকে লংমার্চ কর্মসূচির উদ্দেশ্যে আগত শিক্ষার্থীদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে অগ্রসর হন। তখন আকস্মিকভাবে কিছু ছাত্র তার উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য কটুবাক্য উচ্চারণ করে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর তারা উচ্চমাধ্যমিকের কিছু ছাত্রকেও আক্রমণ করে এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করে।

এতে আরও উল্লেখ৷ করা হয়, ‘সে সময় কলেজে বিপুল সংখ্যক বহিরাগত ও উপস্থিত ছিল যারা আক্রমণে অংশগ্রহণ করে। তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষকরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে বহিরাগতসহ দুষ্কৃতিকারী শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। পরবর্তীতে তারা সংগঠিত হয়ে শিক্ষক লাউজে আক্রমণ ও ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধার করে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত নাম নির্ধারণ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি। কলেজগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।



banner close
banner close