সোমবার

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪ পৌষ, ১৪৩২

বেরোবিতে যিনিই ভিসি, তিনিই ট্রেজারার

বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:১৯

শেয়ার

বেরোবিতে যিনিই ভিসি, তিনিই ট্রেজারার
ছবি: সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এক বছর ধরে শূন্য ট্রেজারার পদ। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ট্রেজারার একটি স্বতন্ত্র পদ হলেও গত এক বছর ধরে এ পদ শূন্য রয়েছে। ফলে নতুন উপাচার্য (ভিসির) পাশাপাশি ট্রেজারারের দায়িত্বও পালন করছেন।

জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ (১৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। তখন থেকেই ট্রেজারের পদটি শূন্য ছিল। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রফেসর ড. মো:শওকত আলী ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান। নতুন করে আর কোনো ট্রেজারার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বর্তমানে ভিসির পাশাপাশি ট্রেজারারের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা ট্রেজারার নিয়োগ থাকলেও এবার পুরো দায়িত্ব ভিসির হাতে চলে এসেছে।

এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ট্রেজারার পদ এক বছর ধরে শূন্য। ফলে ভিসিকেই অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। কিন্তু আলাদা ট্রেজারার না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ব্যবস্থাপনায় সঠিক চেক অ্যান্ড ব্যালান্স বজায় রাখা কঠিন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড মো শওকত আলী বলেন,বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এটা মহামান্যর কাছে জানিয়েছি তারা নিয়োগ দিবে শ্রীগ্রই।আমি ত কাউকে নিয়োগ দিতে পারি না।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান জানান, “আইন অনুযায়ী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন আলাদা ট্রেজারার থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ট্রেজারার নিয়োগের বিষয় ইউজিসির হাতে নেই। নিয়োগের বিষয় টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেখে। আলোচনা করে দ্রুত নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন,শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অবহিত আছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে । এই সার্চ কমিটি কাজ শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।



banner close
banner close