দীর্ঘ সাত বছর পর অনুষ্ঠিত গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের বিজয়ীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৪১৭ নম্বর কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ গ্রহণ করেন।
জাতীয় সঙ্গীত ও গকসুর থিম সং পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ বাক্য পাঠ করান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার মোঃ ওহিদুজ্জামানসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
শপথ অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সভাপতি (ভিপি) ইয়াসিন আল মৃদুল এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মোঃ রায়হানসহ গকসুর সকল নির্বাচিত সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতি (ভিপি) ইয়াসিন আল মৃদুল বলেন,“দীর্ঘ সাত বছর পর ৪র্থ ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম কবে শপথ নিয়ে কাজ শুরু করব। আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে চাই। জবাবদিহিতার রাজনীতি করতে এসেছি। শিক্ষার্থীদের অধিকার ও ক্যাম্পাসের ইতিবাচক পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে নিয়ে কাজ করব।”
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. রায়হান খান বলেন, “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস রেখে আমরা শিক্ষার্থীদের সেবা দেব। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তার সিদ্ধান্তের ফলেই আজ আমরা এই সংসদ পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া আদায় ও শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা কাজ করব।”
কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুর রহিম বলেন,“আজকের দিনটি আমার জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত। শপথ গ্রহণ শুধু মর্যাদা নয়, এটি আস্থার প্রতীক। গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা ও নেতৃত্ব বিকাশের জায়গা। সংসদকে জবাবদিহিমূলকভাবে পরিচালনা করব। সবাই জানবে কোথায় কত টাকা ব্যয় হয়েছে। সবার পরামর্শই আমাদের শক্তি।”
শপথ অনুষ্ঠান আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন,
“নবনির্বাচিতদের অভিনন্দন জানাই। দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট ও তিন শতাধিক পুলিশের উপস্থিতিতে অত্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এত সাহস দেখাতে পারেনি। উপাচার্যের বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই এটি সম্ভব হয়েছে। নির্বাচিতরা যেন দায়িত্বশীলভাবে কাজ করে এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে প্রশাসনের কাছে না যায়।”
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন,
“ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদানেই আজ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলতেন, শিক্ষকদের প্রতিনিধি আছে, কিন্তু ছাত্রদের নেই—এই সংসদ তারই স্বপ্নের ফসল। নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা ছিল অনন্য। দায়িত্বশীলরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। কারও কোনো প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর আমি দেব। আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচিত ও অনির্বাচিত সবাই মিলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করবে। ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা—সবাই মিলে একত্রে কাজ করলেই প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাবে।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন,শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:








