কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীদের ডিন'স অ্যাওয়ার্ড ও বৃত্তি-২০২৫ প্রদান করা হয়েছে। এতে ৩১ জন ডিন’স অ্যাওয়ার্ডের মধ্যে স্নাতকে ১৭ ও স্নাতকোত্তরের ১৪ জন এবং মেধাবী ও অসচ্ছল ক্যাটাগরিতে ১২ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় প্রকৌশল অনুষদের হল রুমে এ বৃত্তি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান, আইসিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, সিএসসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাছান। এছাড়াও প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ডিন'স অ্যাওয়ার্ড শিক্ষার্থীদের জীবনের একটা স্বপ্ন থাকে। এটা কে বাস্তবায়ন করার জন্য শিক্ষকদেরকে অনেক কাজ করা হয়েছে। বর্তমান প্রশাসন কে অনেক ধন্যবাদ এমন একটা আয়োজনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এটা শিক্ষার্থীের সেরা একটি অর্জন। অনার্স শেষ করার পর বুঝা যাবে এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশে পড়ানোর ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাও বুঝতে পারবে৷ সকল শিক্ষকদের সহযোগিতায় এমন আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। বৃত্তি প্রদান করার হয়েছে মেরিট অনুযায়ী। যারা পেয়েছ আশকারি ধারাবাহিক বজায় রাখবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, আজকের অনুষ্ঠান হলো অর্জনের স্বীকৃতি। অর্জনের স্বীকৃতি পাওয়ার পর কমিটমেন্টের জায়গাটা অনেক উপরে উঠে যায়। যারা এটা পেয়েছে তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। মহৎ অর্জনের পেছনে শুধু মেধা নয় লাগবে মন, মেধা, মেহনত, পরিশ্রম। এই চারটি বিষয় ধরে রাখতে পারলে আমরা অনেক ভালো কিছু করতে পারবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দর আলী বলেন, আজকের তোমরা যারা মেধাবৃত্তি পেয়েছ তোমাদের চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে গেলো ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। ব্রাক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় তোমাদের জ্ঞানের পরিধি বেশি কিন্তু এক্সপ্রেশন অনেক কম। আমি শিক্ষকদের বলতে চাচ্ছি এগুলো নিয়ে আপনাদেরকে ভাবতে হবে। ক্লাসে এবং ল্যাবে থিওরেটিক্যালি প্রেজেন্টেশের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ভাইবা, প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কথা বলার জড়তা কাঠাতে হবে। প্রেজেন্ট করা অত্যন্ত দরকার। আমি যেটা জানি সেটা লুকিয়ে রেখে প্রমাণ করতে পারবো না আমি এটা জানি। আমাকে স্মার্ট ওয়েতে এক্সপ্রেস করতে শিখতে হবে।
আরও পড়ুন:








