ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট অরক্ষিত অবস্থায় রাজধানীর নীলক্ষেত ছাপানো হয়, বলে অভিযোগ তুলেছিলেন একাধিক প্রার্থী। প্রার্থীদের সেই অভিযোগ তদন্তে নামছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘ব্যালট পেপার সংক্রান্ত যে অভিযোগটি উঠেছে, তা কমিশন অতীব গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে অধিকতর তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। শিগগিরই একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিশন সকল বিষয়ে বিস্তারিত উত্তর প্রদান করবে।’
এর আগে বলা হয়, নির্বাচন ঘিরে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ ঘিরে ১৫টি অভিযোগের জবাব দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-পরবর্তী বিভিন্ন অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় কমিশন গঠনতন্ত্রের ৬৯ নম্বর ধারার আলোকে ১৫টি অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) লিখিত জবাব প্রদান করেছে। বাকী অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার বিষয়েও ক্রমান্বয়ে জবাব দেয়া হবে।’
এর আগে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনে অংশ নেয় প্রার্থীরা অভিযোগ তোলেন রাজধানীর নীলক্ষেতে গাউসুল আজম মার্কেটে অরক্ষিত অবস্থায় ব্যালট ছাপানো হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ডাকসুর ব্যালট পরীক্ষিত প্রতিষ্ঠান বিশেষ প্রক্রিয়ার ছাপিয়েছে, যা নীলক্ষেতের কোন দোকানে ছাপানো সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রচারিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অরক্ষিতভাবে নীলক্ষেতের জালাল প্রেসে ছাপানো হয় ডাকসু ও হল সংসদের ব্যালট। এদিকে এইদিন দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি, প্রশাসনের পক্ষপাত এবং বিভিন্ন অনিয়মের প্রসঙ্গ এনে ১২ দফা অভিযোগ তোলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নিয়ে গঠিত ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেয় সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু লিখিত আকারে ১২টি অভিযোগ সামনে আনেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে শীর্ষ তিনটি পদসহ ২৩টি পদে জয়ী হয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট এবং বাকি পাঁচ পদে জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিনই ভোটকে ঘিরে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট, প্রত্যাখান করেন সরে দাঁড়ান অনেক প্রার্থী।
আরও পড়ুন:








