রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকরামুল হাসান ফাহিম বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে যে নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে, তা কোনোভাবেই অংশগ্রহণমূলক হতে পারে না। এটি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত করবে না বরং একটি পাতানো ও প্রহসনমূলক নির্বাচনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আরও লক্ষ্য করছি যে, প্রশাসন পোষ্য কোটার মতো প্রত্যাখ্যাত ও অন্যায্য সিদ্ধান্ত পুনর্বহালের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে পোষ্য কোটার কোনো স্থান নেই, এটি শিক্ষার্থীদের একত্রীকৃত আন্দোলনের অর্জন। এই অর্জনকে উপেক্ষা করে নির্বাচন আয়োজন করা শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।’
ফাহিম আরও বলেন, ‘আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, ‘শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, নিরাপত্তা এবং প্রকৃত অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে কোনো নির্বাচন আয়োজন মেনে নেয়া হবে না। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত রায় প্রতিফলিত হবে।’
অন্যথায়, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এই পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইকরামুল হাসান ফাহিম।
আরও পড়ুন:








