রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটা বাতিল আন্দোলনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে ছাত্রলীগ, এমন মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকরামুল হাসান ফাহিম।
তিনি বলেন, ‘পোষ্য কোটা আন্দোলন আমাদের যৌক্তিক দাবি, যার পক্ষে ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে আছে। অথচ ছাত্রলীগ এই ন্যায্য আন্দোলনে প্রবেশ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে বিদ্বেষমূলক উক্তি উচ্চারণ করছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
ফাহিম আরও দাবি করেন, ছাত্রলীগ একটি নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও অবৈধ। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পোষ্য কোটা বাংলাদেশের জুলাই-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। অতিদ্রুত পোষ্য কোটা বাতিল করে ২৫ তারিখের রাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করুন।’
তিনি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সকল ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এ লড়াই শুধু কোটা সংস্কারের নয়, এটি ছাত্রসমাজের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার লড়াই।’
ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও একই দাবি জানিয়ে বলছেন, পোষ্য কোটা বর্তমান সময়ে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শিক্ষার্থীদের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করছে। তাদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত হবে দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমিত করা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো লিখিত ঘোষণা আসেনি। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন:








