চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিনেটে ৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচনের বিধান থাকলেও চবিতে এই নির্বাচন কখনোই অনুষ্ঠিত হয়নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কেউই হতে পারবেন না সিনেট সদস্য। সিনেট সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য আলাদাভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে হয়।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টায় মুঠোফোনে এমন তথ্য জানান চাকসু নির্বাচন পরিচালনার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন।
তিনি জানান, চাকসুতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সিনেট সদস্য হতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সিনেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হওয়ার জন্য আলাদা নির্বাচন আয়োজন করতে হয়। চাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সিনেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ২২ নং অনুচ্ছেদের ধারা ১ (ঠ) এ বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা নির্বাচিত ৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সিনেট সদস্য হবেন।
একই অনুচ্ছেদের ২ নং ধারায় বলা হয়েছে, পদাধিকার বলে এবং শিক্ষার্থীদের দ্বারা নির্বাচিত সিনেট সদস্য ব্যাতিরেকে অন্যান্য সিনেট সদস্যের কার্যকাল হবে তিন বছর এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সিনেট সদস্যের কার্যকাল হবে ১ বছর। ২নং অনুচ্ছেদে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সদস্যগণ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ছাত্রত্ব শেষ হলে সদস্যপদও হারাবে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ডাকসু নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ৫ জন সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
চাকসুতে এর ব্যতিক্রম কেন তা জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, “চবিতে সিনেট সদস্য রাজশাহীর মত সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবার নিয়ম। সেই নির্দেশনা আমাদের দেয়া হয়নি। চবিতে অদ্যাবধি সিনেটে কখনো ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়নি। রাজশাহী আগের রাকসুতেও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। এবারও ৫ জন সিনেট সদস্য নির্বাচনের তফসিল দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষিত চাকসু নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৩৪ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন:








