কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। কুবি শিক্ষার্থী ও তার মাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি (কবিরাজ) মো. মোবারক হোসেন আদালতে এমন জবানবন্দি দিয়েছেন।
রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান।
পুলিশের বরাতে জানা যায়, আজকে আসামি (কবিরাজ) মো. মোবারক হোসেনকে আদালতে তোলা হলে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে হত্যার আগে সেই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশের মিডিয়া শাখার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিক্টিম সুমাইয়া আফরিনকে কথিত জিনে ধরায় বাবুস সালাম জমিরিয়া মাদ্রাসারই পীর ইলিয়াস শাহ এর কাছে ঝাড়ফুঁক করাতে নিয়ে যেতো সুমাইয়ার মা। সেখানেই আসামি মোবারকের সাথে পরিচয় হয়। ভিক্টিম পরিবারে ঝাড়ফুঁকের নামে আসা-যাওয়া করতেন মোবারক।
জানা যায়, ঝাড়ফুঁক করে তাকে বসে এনে প্রথমে ধর্ষণ করে মোবারক। মেয়ের সাথে হওয়া এই ঘটনা দেখে ফেলেন ঐ শিক্ষার্থীর মা। ফলে তাকে হত্যা করেন মোবারক। এরপর তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে আবার আসামি সেই বাসায় যায়। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বুঝতে পেরে তাকে বাধা দেন। যখন আসামি বুঝতে পারেন তিনি ধরা পড়ে গেছেন, তখন তিনি শিক্ষার্থীকেও হত্যা করেন।
এদিকে মোবারকের নামে পূর্বেও একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। ২০২৩ সালের ২৪ জুন কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর পশ্চিম চৌমুহনীতে অবস্থিত হজরত খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার একটি কক্ষে মোহনা আক্তার মুন্নী নামের ৭ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের কথা আসামি স্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া কাপড়চোপড়, বিছানার চাদরসহ যাবতীয় বিষয় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর আরও ভালোভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লার কালিয়াজুরি এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে কুবি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যায় মোবারক হোসেনকে (কবিরাজ) গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:








