চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ ( চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে থেকে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম। মনোনয়নপত্র বিতরণের প্রথম দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ২৮ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তৈরি হয়েছে নির্বাচনী আমেজ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে।
রবিবার মনোনয়নপত্র বিতরণের আজ ছিলো প্রথম দিন। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে চাকসু নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। প্রথম দিনের কার্যক্রম চলে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত।
গতকাল ২৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। কেন্দ্রীয় সংসদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ২৬ জন প্রার্থী। এরমধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৭ জন, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন করে প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
এছাড়া হল সংসদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েছেন। ছাত্র হলে একজন এবং ছাত্রী হলে একজন। প্যানেল হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছে 'দ্রোহ পর্ষদ'।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৪ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে দুই জন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। অন্য দুইজনের একজন ক্রীড়া সম্পাদক এবং অন্যজন ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন, ফাইন্যান্স বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ যায়েদ এবং অন্যজন নাট্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান। এছাড়া হল সংসদ নির্বাচনে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে স্বতন্ত্র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোহাম্মদ হোসাইন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের পদচারণা বেড়ে যায়। বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সর্বমোট ২৮ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
ভিপি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা মনে করি আমি একজন শিক্ষার্থী হিসেবে কোনো দলীয় বলয়ে না গিয়ে নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবো। আমার প্রতিশ্রুতি হলো আমি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করব।”
সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন করা হবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্বাচনের আগে ডোপ টেস্ট করানো হবে। আমরা মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় তাদেরকে ডোপ টেস্টের একটা কার্ড দিচ্ছি। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, দীর্ঘদিন পরে চাকসু নির্বাচন আয়োজন হচ্ছে। আমরা আশা করি সুন্দর পরিবেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সকল অংশীজনদের মধ্যে একধরণের উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:








