ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ের পাশের লাউঞ্জে এই সভার মাধ্যমে নতুন কমিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, এজিএস মুহা. মহিউদ্দীন খানসহ মোট পাঁচজন সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হবেন। তাদের সঙ্গে থাকছেন সর্বাধিক ভোট পাওয়া সদস্য সাবিকুন্নাহার তামান্না এবং পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ। শিগগিরই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনে নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা নিজেদের অভিমত প্রকাশ করেন। জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, আজ প্রথম কার্যদিবস। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে ভিন্ন মত থাকলেও আমরা সবার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে চাই। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পৌঁছে দেওয়াই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি আরও জানান, ভিপি, জিএস ও এজিএস স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিনেট সদস্য হচ্ছেন। বাকি দুই সদস্যের ক্ষেত্রে একজনকে সেক্রেটারিয়েট বডি থেকে এবং অন্যজনকে জেনারেল মেম্বারদের মধ্যে থেকে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। শিগগিরই এই সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, আমরা ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি। তাদের যেকোনো সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি সমস্যার সমাধানে আমরা প্রস্তুত। শিগগিরই বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, এজিএস মুহা. মহিউদ্দীন খানসহ ২৭ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ।
গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয় ৩৮তম ডাকসু। ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৮ বার ডাকসু নির্বাচন হলেও নিয়মিত নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ৩৭তম ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ মার্চ। এবারের নির্বাচনে ২৮ পদের মধ্যে শীর্ষ তিন পদসহ ২৩টিতে জয়ী হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। বাকি পাঁচ পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন:








