আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
সোমবার বিকেলে ডাকসু নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
উপাচার্য বলেন,আগামীকাল বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন। ১১ মাসের দীর্ঘ প্রস্তুতি, হাজারো শিক্ষার্থীর আকাঙ্ক্ষা আর নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। ডাকসুকে ঘিরে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রক্টরিয়াল টিম, বিএনসিসি, ভলান্টিয়ার টিমসহ সবাই মাঠে রয়েছে। তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
উপাচার্য আরও বলেন, তিনটি কারণে এবারের ডাকসু নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটি শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি, যা ধীরে ধীরে জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত, গণঅভ্যুত্থানের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ডাকসুর সক্রিয়তা সরাসরি সম্পর্কিত। তৃতীয়ত, এই নির্বাচন বিভিন্ন অংশীজনকে একত্রিত করেছে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করেছে।
প্রার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ডাকসু একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার পর থেকে মাত্র আটবার এই নির্বাচন হয়েছে। অনেক প্রশাসন এমন আয়োজন করতে আগ্রহী থাকে না। কিন্তু আপনারা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিতুন বা হারুন, সেটিই হবে আপনাদের বড় অবদান। তাই একে অপরের প্রতি সহনশীল হোন। হার-জিত যাই হোক, আমাদের মধ্যে এমন কিছু নেই যাতে বড় কোনো সংঘাত তৈরি হয়। যদি তবুও কেউ আইন ভঙ্গ করে, তবে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ক্যাম্পাসের ৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে। ৮ কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ভোটার গড়ে ১০ মিনিট সময় নিলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বিঘ্নে ভোটদান সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন:








