চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও তাকে জোর করে হাঁটানো হয়েছে এবং ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকালে নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে মামুনের বড় ভাই, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ রানা বলেন, আমার ভাইয়ের মাথার খুলি এখনো জোড়া লাগেনি। সে কাউকে চিনতে পারছে না। অথচ ফটোসেশন করে বলা হচ্ছে, সে সুস্থ। এসব দেখে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি।
এর আগে, শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মামুনের ছবি ও ভিডিও, যেখানে তাকে করিডোরে আরেকজনের কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। এই দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার পর স্বজন ও সহপাঠীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ, অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাঁটিয়ে ‘সুস্থ দেখানোর’ চেষ্টা করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুনের মাথায় অস্ত্রোপচারের পর খুলি এখনও ফ্রিজে সংরক্ষিত আছে। তিনি কথাবার্তা বললেও কাউকে চিনতে পারছেন না এবং মাঝে মাঝে তীব্র ব্যথায় চিৎকার করছেন।
মাসুদ রানা বলেন, ‘সে শুধু বলে, ভাল্লাগে না, মইরা যাব।’ আমি আসার পর সে আমার সঙ্গে ইশারায় কথা বলার চেষ্টা করে।’
ফেসবুকে মামুনের ছবি-ভিডিও শেয়ার করেছেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিয়ার রহমান। তিনি লিখেছেন, কিছুক্ষণ আগে পার্কভিউ হাসপাতালে এলাম, আহতদের দেখতে। আলহামদুলিল্লাহ, মামুন হাঁটছে, ছোট ছোট করে কথা বলছে। অপারেশনে অংশ নেওয়া নিউরোসার্জন তাকে হাঁটালেন। কিছুটা হলেও স্বস্তি বোধ করলাম।
তবে মামুনের সহপাঠীরা দাবি করেছেন, ডাক্তারদের উপস্থিতিতে তাকে জোর করে উঠিয়ে বসানো হয় এবং সেখানেই ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়।
পার্কভিউ হাসপাতালের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ন কবির বলেন, রোগিকে জোর করে হাঁঠানো হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য ও প্রক্টরসহ অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী এবং কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন:








