বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)-সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অধীনে, হাইকোর্টের নয়।
সোমবার ঢাবি ডাকসু ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের সমালোচনা করেন।
কাদের উল্লেখ করেন যে পাঁচ আগস্টের পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও ডাকসু নির্বাচন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবশেষে নয় সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে, তবু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা চলছেই।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা এমন ষড়যন্ত্র দেখলাম এবং শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখিয়েছে।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরও জানান, এক প্রার্থীর যোগ্যতা বাতিলের জন্য রিট দায়েরের মাধ্যমে পুরো ডাকসু নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ‘আমরা যা ভয় পাচ্ছিলাম তা ঘটতে চলেছে। শিক্ষার্থীদের ডাকসুতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে,’ তিনি ব্যাখ্যা করেন।
কাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হওয়ার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার উপর জোর দেন। ‘ডাকসু হবে আপনার অধিকার। ডাকসু নিয়ে উদগ্রীব এবং আগ্রহী হোন। আপনাদের সাথে মিলে আমরা সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব,’ তিনি শিক্ষার্থী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের প্রার্থীর মন্তব্য আসছে নির্বাচনের বিলম্বের কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যেই। ডাকসু ভবনে সংবাদ সম্মেলন করার স্থান নির্বাচন প্রমাণ করছে যে, প্রশাসনিক বাধা এবং আইনি চ্যালেঞ্জের মধ্যে সত্ত্বেও নির্বাচন আয়োজনের দৃঢ়তার প্রতীক।
শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। ৫ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিলম্বিত সময়কাল প্রায় এক মাস ধরে চলেছে, যা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিশ্চিত করার প্রতিষ্ঠানগত প্রতিশ্রুতির ওপর প্রশ্ন উত্থাপন করছে।
কাদেরের বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বিস্তৃত উদ্বেগের প্রতিফলন। রিট পদ্ধতি ব্যবহার করে একক প্রার্থীর যোগ্যতা বাতিলের কৌশল পুরো নির্বাচনী কাঠামো ব্যাহত করার একটি সুসংগঠিত প্রচেষ্টা নির্দেশ করে।
স্বচ্ছ এবং ন্যায্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা আশাবাদী যে প্রশাসন গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের পক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং প্রার্থীরা যে পরিকল্পিত ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা উল্লেখ করেছেন তা প্রতিহত করবে।
আরও পড়ুন:








