চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির শুরু হয়। এতে অন্তত ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী ওই এলাকায় একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। রাতে তিনি বাসায় ফিরলে ভবনের দারোয়ান তার প্রবেশে বাধা দেন এবং দরজা না খুলে উল্টো তাকে মারধর করেন। ছাত্রীটির অভিযোগ, দরজা খোলার অনুরোধে দারোয়ান উত্তপ্ত হয়ে তার গলায় চড় মারেন, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং লাথি মারেন। পরে তার রুমমেট ও আশপাশের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে দারোয়ান পালিয়ে যান।
শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধাওয়া দিলে স্থানীয় কিছু লোক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ।
সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা আল মাসনূন। তাকে কোপানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনও আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক মো. টিপু সুলতান জানান, ইমতিয়াজের চোখের নিচে ঘুষির আঘাতে গভীর ক্ষত হয়, যার জন্য তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. কোরবান আলী ও নাজমুল হোসাইন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও স্থানীয়দের বাধার মুখে তারা ২ নম্বর রাস্তায় ঢুকতে পারেননি। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে মধ্যরাতে গণমাধ্যমকে সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ জানান, সহকারী প্রক্টর কোরবান ও নাজমুল আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছে।
ঘটনার পর পুরো এলাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়েরের তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:








