পটুয়াখালী, ২৬ আগস্ট ২০২৫ – পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ইয়ারুল হক। পেশায় শিক্ষক হলেও আচরণে বোঝার উপায় নেই তিনি একজন জাতি গড়ার কারিগর। তার বেপরোয়া আচরণ নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে। অভিযোগ রয়েছে, ইয়ারুল হক প্রতিষ্ঠানটিকে নিজের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের মতো ব্যবহার করছেন, যার ফলে শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মানছেন না, পছন্দের ছাত্রদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, এমনকি শিক্ষক নিয়োগ বা প্রশাসনিক কার্যক্রমেও পারিবারিক প্রভাব খাটানো হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, "প্রতিষ্ঠানটিতে যে পরিবেশ থাকা দরকার, তা এখন আর নেই। কিছু সিদ্ধান্ত এমনভাবে নেওয়া হচ্ছে, যেন প্রতিষ্ঠানটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি।"
ইয়ারুলের বাড়ি বরিশাল হওয়ায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে দিয়েছেন স্ত্রীকে চাকরি। একই প্রতিষ্ঠানে সিভিল ডিপার্টমেন্ট প্রধান ইয়ারুল বউ ফারজানা আক্তার ইতিকে বানিয়েছেন ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র ইন্সপেক্টর। এর পাশাপাশি তার শ্যালক ফয়সাল আহম্মেদ শিশিরকেও বানিয়েছেন সিভিল ডিপার্টমেন্টের পার্ট টাইম সহকারী শিক্ষক। অন্যদিকে শ্যালকের স্ত্রী তাসরিয়ান কবির একই ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত সরকারের আমলে তিনি আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে কলেজের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তার সেই দাপট এখনো বহাল তবিয়তে আছে। কেউ কেউ বলছেন, কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই তাকে হুমকি দেওয়া হয় অথবা পরীক্ষায় নম্বর কেটে দেওয়া হয়।
কয়েকবার তার বদলির নোটিশ হলেও ক্ষমতার দাপটে প্রায় পনেরো বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন তিনি।
ইয়ারুলের কুকীর্তির আরও একটি উদাহরণ নারী কেলেঙ্কারি। স্ত্রী থাকা অবস্থায় কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন সময়ে অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছে তাকে। এমনকি তার পরিচালিত কোচিং সেন্টারে প্রতিনিয়ত নারীঘটিত কেলেঙ্কারির কথা শোনা যায়। এ নিয়ে তার স্ত্রীর মধ্যে কলহ-বিষয়ে কলেজের সবাই অবগত। বিগত সরকারের আমলে কলেজের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অভিভাবক ছিলেন তিনি। তার সাথে এখনো ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে বলে জানান একাধিক সূত্র।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল দাবি করেছেন, দ্রুত এই বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এই পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অনেকেই
আরও পড়ুন:








