সোমবার

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪ পৌষ, ১৪৩২

শিল্পকলায় জবি নাট্যকলার তিন দিনব্যাপী 'তর্পণ বাহকেরা'র সমাপ্তি

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট, ২০২৫ ২০:১২

আপডেট: ২২ আগস্ট, ২০২৫ ২০:১৩

শেয়ার

শিল্পকলায় জবি নাট্যকলার তিন দিনব্যাপী 'তর্পণ বাহকেরা'র সমাপ্তি
ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় তিন দিনব্যাপী নাট্য প্রদর্শনী শেষে পর্দা নামল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের প্রযোজনা 'তর্পণ বাহকেরা' নাটকের।

গ্রিক ট্রাজেডির জনক ইস্কিলাসের বিখ্যাত এই নাটকটি ১৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট সমাপনী প্রদর্শনীর মাধ্যমে শেষ হয়। নাটকটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ক্যাথরিন পিউরীফিকেশন। এটি মঞ্চস্থ করেন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। শিল্পকলা একাডেমিতে এ নাটকের প্রদর্শনী এটাই ছিল প্রথম।

সমাপনী প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম (পিএইচডি)। তিনি বলেন, "নাট্যকলা বিভাগের প্রতিটি প্রযোজনা অসাধারণ। প্রতিটি নাটক আমাদের সামনে নতুন বার্তা নিয়ে আসে। আজকের প্রদর্শনী সত্যিই আমাকে আবেগাপ্লুত করেছে। আশা করি ভবিষ্যতেও নাট্যকলা বিভাগ আমাদের আরও সমৃদ্ধ প্রযোজনা উপহার দেবে।"

নাটকের নির্দেশক ক্যাথরিন পিউরীফিকেশন বলেন, "তর্পণ বাহকেরা একটি রাজপরিবারের হত্যাকাণ্ড ও নিয়তির বিধানকে কেন্দ্র করে রচিত। বর্তমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক বাস্তবতায় এটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। পৃথিবী আবার ছন্দে ফিরুক, এটাই আমাদের কামনা।"

দর্শকরাও নাটকটির বিষয়বস্তুতে মুগ্ধ হন। সিয়াম আবু রাফি নামক এক দর্শক বলেন, "নাটক সমাজের প্রতিচ্ছবি। এ নাটক আমাদের শিখিয়েছে হিংসা-বিদ্বেষ কিংবা প্রতিশোধ কখনো শান্তি আনতে পারে না।"

তিন দিনব্যাপী আয়োজনে প্রতিদিনই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। নাটকটি তরুণ প্রজন্মের মঞ্চনাট্য চর্চায় সৃজনশীল সম্ভাবনার এক শক্তিশালী দিক উন্মোচন করেছে।



banner close
banner close