সোমবার

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪ পৌষ, ১৪৩২

টাঙ্গাইলে ৭ বছরের শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শিক্ষক আটক

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৪৮

শেয়ার

টাঙ্গাইলে ৭ বছরের শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শিক্ষক আটক
ছবি বাংলা এডিশন

টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক শিশু শিক্ষার্থী (৭) কে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শাহাদত হোসেন নামের এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কিছু পক্ষ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে কাউলজানী ইউনিয়নের সেহরাইল দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।

অভিযুক্ত শাহাদত হোসেন (৪৫) ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্র ও লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, গত সোমবার (১১ আগস্ট) ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষক শিশুটির শরীরে অশ্লীলভাবে হাত দেন। শিশুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানানো হয়নি, তবে ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার অভিভাবকদের কাছে জানায়। শিশুর পরিবার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় মাতাব্বরদের কাছে বিচার দাবি করেন।

পরদিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিশুটির পরিবারকে ডেকে নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টি এলাকায় প্রকাশিত হলে বুধবার সকালে শিশুর অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে সমবেত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বদলি ও শাস্তি দাবি করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ আকলিমা বেগম ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বেগম বীথি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। এরপর শিশুর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে।

অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের ছেলে মাহবুব বলেন, “আমরা গ্রামে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। গ্রামবাসীর নাম ব্যবহার করে কয়েকজন আমাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করতে এই ঘটনা সাজিয়েছে। শিশুর বাবা নিজে এসে আমাদের ভুল স্বীকার করেছেন।”

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, “অভিযুক্ত শিক্ষককে থানায় আনা হয়েছে। শ্লীলতাহানীর অভিযোগের বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ আকলিমা বেগম বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয়টিতে গিয়েছিলাম। শিশুটির বাবা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”



banner close
banner close