সোমবার

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪ পৌষ, ১৪৩২

অর্ধেক প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বেরোবিতে শিক্ষক নিয়োগের বোর্ড

বেরোবি প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ০৮:৫৮

শেয়ার

অর্ধেক প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বেরোবিতে শিক্ষক নিয়োগের বোর্ড
ছবি সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে অর্ধেক প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য না ডেকেই নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সর্বমোট ১৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সংস্থাপন শাখায় আবেদন জমা পড়ার পর যাচাই বাচাইয়ের জন্য বিভাগে পাঠালে, বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি অন্তত ৭ টি আবেদন বাতিল করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে প্ল্যানিং কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিভাগের এক তৃতীয়াংশ শিক্ষক দিয়ে গঠন করার কথা থাকলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিভাগের সাবেক সভাপতি মীর তামান্না ছিদ্দিকাকে অন্তভুক্ত করেন বর্তমান সভাপতি কুন্তলা চৌধুরী। অভিযোগ আছে পছন্দের প্রার্থীকে সুবিধা দিতে প্ল্যানিং কমিটির সদস্য তিনজন থাকলেও মীর তামান্না ছিদ্দিকাকে নিয়ম ভেঙ্গে অন্তভুক্ত করা হয়। আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট বিষয়ের না এই কারণ উল্লেখ করে অন্তত চারজন প্রার্থী এবং নম্বরপত্রের অনুলিপি ও আবেদন অপূর্ণাঙ্গ উল্লেখ করে বাকি তিনজনের আবেদন বাতিল করেন তারা।

পরীক্ষার জন্য ডাক না পেয়ে গত রবিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরিরে এসে হাজির হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নিয়োগে আবেদন কারী খন্দকার সুরাইয়া আক্তার । তিনি পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে দেখা করেন। পরে প্রশাসন থেকে তার এই সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হলে তিনি প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করেন। কিন্তু পর দিন সাত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে ১১ জন প্রার্থীকে নিয়েই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়।

উল্লেখ্য, দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নামে কোন বিভাগ না থাকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ঠ অনুষদভুক্ত অর্থাৎ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত যে কোন বিভাগ থেকেই আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও এ বিভাগের বেশিরভাগ শিক্ষকই ডেভোলপম্যান্ট স্টাডিজ, লোকপ্রশান, শান্তি ও সংঘর্ষ, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ থেকে নিয়োগ পাওয়া। কিন্তু এবারের নিয়োগ বোর্ডে এসকল বিভাগ থেকেও কয়েকজন প্রার্থী আবেদন করেও বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কুন্তলা চৌধুরীকি ফোন করা হলে ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে আবার যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.শওকাত আলী বলেন, মেয়েটি কাগজ পাতি জমা দেয়নি।পরে এসে জমা দিলে ত হবে না। ঐ মেয়েটা যখন আসছে। আমরা বিভাগ বরাবর একটা আবেদন দিয়েছিলাম। সেখান থেে তারা আবার প্লানিং কমিটি করে সিদ্ধান্ত দিবে। প্লানিং কমিটিতে তিন জন থাকার কথা থাকলেও চারজন কেনো ছিল এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ওদের প্লানিং কমিটি ভুল ছিল।



banner close
banner close