তরুণদের জন্য বাধ্যতামূলক মিলিটারি ট্টেনিং এর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী সরকারের প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জুলাই বিপ্লবের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, "জুলাইকে আমরা বিপ্লব বলবো নাকি অভ্যুত্থান এটা অনেকেরই প্রশ্ন। তবে দুটোর যে পার্থক্য সে অনুযায়ী আমি প্রথম থেকেই এটিকে বিপ্লব বলে আসছি। তবে বিপ্লব ৩৬ দিনে হয় না, বিপ্লব একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা এখনো সে প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। যতদিন না অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিপদ কাটবে ততদিন বিপ্লব চলবে।"
মাহমুদুর রহমান বলেন, "আমাদের অভ্যন্তরীণ বিপদ হচ্ছে যেসব ফ্যাসিস্ট আমলের ব্যক্তিরা এখনো রয়ে গেছে, তারা অভ্যন্তরীণ বিপদ ঘটাতে পারে এবং বাহ্যিক বিপদ হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে আমাদের ৪ হাজার কিলোমিটারের বর্ডার রয়েছে। ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র, পার্শ্ববর্তী মায়ানমার একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্র। প্রতিবেশী বহিশক্তির থ্রেট মোকাবেলায় দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে আমাদের তরুণদের জন্য বাধ্যতামূলক মিলিটারি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।"
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, "যারা ফ্যাসিস্টদের পক্ষে ছিল এবং জুলাই আন্দোলনে বিরোধীতা করেছিল তাদের চিহ্নিত করতে আমি চার মাস আগে কমিটি গঠন করেছি। আমি সেই কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।"
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি আয়োজন করা হয়। র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও ক্রিয়াশীল সংগঠন অংশগ্রহণ করে। র্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। পরে অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে দোয়া, ১ মিনিট নীরবতা পালন ও বিপ্লবের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও অতিথিদের সংবর্ধনা ও আন্দোলন নিয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে শেষে জুলাই'৩৬ স্মৃতি সংগ্রহশালা উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন:








