জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তীর্থ দাসের হাতে একটি স্বয়ংক্রিয় হুইলচেয়ার তুলে দিয়েছে রূপালী ব্যাংক পিএলসি।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম তাঁর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে হুইলচেয়ারটি তীর্থ দাসের হাতে তুলে দেন।
উপাচার্য রূপালী ব্যাংকের এ মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “এই হুইলচেয়ার পেয়ে তীর্থ এখন আর অন্যের সহায়তার অপেক্ষায় থাকবে না; নিজে নিজেই শ্রেণিকক্ষে যেতে পারবে। এতে তার চলাচল সহজ হলো, একইসঙ্গে তার মায়ের কষ্টও অনেকটা লাঘব হলো।”
তিনি রূপালী ব্যাংকের কর্তৃপক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রতিশ্রুত অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুত সরবরাহ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা, রূপালী ব্যাংক পিএলসি ময়মনসিংহ জোনাল অফিসের ডিজিএম ও জোনাল ম্যানেজার নাসরিন সুলতানা, ত্রিশাল কর্পোরেট শাখার এজিএম মো. মাসুম, ময়মনসিংহ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ইমরান হোসাইন এবং তীর্থ দাসের মা তাপসী রাণী দাস।
তাপসী রাণী দাস জানান, তীর্থ ছোটবেলা থেকেই ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রোফি (Duchenne Muscular Dystrophy - DMD) নামক জটিল রোগে আক্রান্ত। দেশ-বিদেশে চিকিৎসা করিয়েও তাকে পুরোপুরি সুস্থ করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকদের মতে, এই রোগের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই।
হুইলচেয়ার পেয়ে তীর্থ দাস ও তাঁর মা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:








