কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে তথ্য উঠে এসেছে ফরেনসিক প্রতিবেদনে।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির নিকট ফরেনসিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন পুলিশর সদস্যরা।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাজিদের শরীরে পানিতে ডুবে মৃত্যুর কোনও বৈশিষ্ট্য নেই। সাজিদ আবদুল্লাহকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপরে তার মৃতদেহ পানিতে ফেলা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সাজিদের মৃত্যু ময়নাতদন্তের ৩০ ঘণ্টা আগে হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন সাজিদ আবদুল্লাহ। গত ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরিবার ও সহপাঠীরা ধারণা করছেন, সাজিদ হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে সাজিদ আবদুল্লাহর লাশের প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে, শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করেন। এছড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রশাসন ভবনে অবরুদ্ধ করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়াসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও সামাজিক সংগঠন।
সাজিদের সহপাঠীর জানান, "একজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করে মৃতদেহ পুকুরে ফেলে রাখা হলো, অথচ এতদিন প্রশাসন এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।"
আরও পড়ুন:








