সোমবার

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩ পৌষ, ১৪৩২

শিশুদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে ছোটবেলা থেকেই

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:২৭

শেয়ার

শিশুদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে ছোটবেলা থেকেই
ছবি সংগৃহীত

নৈতিকতা না থাকলে শিক্ষা, উন্নয়ন কিংবা প্রযুক্তি- কিছুই দীর্ঘস্থায়ী সুফল দিতে পারে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে এখনই শিশুদের মনে সততা, দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার বীজ বপন করতে হবে। ছোটবেলা থেকেই নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য।’

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা বিকাশের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘নীতিবান শিশু, সুখী বাংলাদেশ’ শীর্ষক পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বামনজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক আলোচনা সভার মাধ্যমে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) আল মামুন।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুকুল চন্দ্র বর্মন, বামনজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিনারা বেগম, শান্তিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএম জিয়াউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুর আলম মিয়া নুর, রেজওয়ানুল কবির প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, 'শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল নয়, একজন শিশু যেন ছোটবেলা থেকেই ন্যায়-অন্যায় বুঝতে শেখে, অপরের প্রতি সহমর্মিতা রাখে, নিয়ম মেনে চলে, কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হয়—এই চর্চা তার চরিত্রের ভিত গড়ে দেবে।'

তারা আরও বলেন, 'একজন শিক্ষার্থীর পুঁথিগত বিদ্যার সঙ্গে সঙ্গে নৈতিক উন্নয়ন না হলে সে কখনও পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে পারে না। তাই বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে—শুধু মুখে নয়, বাস্তব আচরণে।'

আলোচনা সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। পরে প্রকল্পভূক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম পর্যায়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মোট ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে শিশুদের মাঝে নৈতিক শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়ে একটি মানবিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য।



banner close
banner close