জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “জকসু নিয়ে আমি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আগ্রহী নই। এ নিয়ে আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই, আমি কিছু জানি না।”
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে জকসু নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে গেলে এক বেসরকারি টেলিভিশন ও একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি এ ধরনের অভিজ্ঞতার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী দৈনিক আমাদের সময়ের সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম বলেন, “রেজিস্ট্রার স্যার আমাকে বলেন, ‘আমি জকসুর নীতিমালা কমিটির সদস্যসচিব নই, সাধারণ সদস্য। আমি কিছু জানি না।’ পরে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি আগ্রহী নন।”
আরেক সাংবাদিক আতিক মেসবাহ বলেন, “আমি একজন রিপোর্টার হিসেবে জকসু নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্যারের এমন আচরণ খুবই দুঃখজনক ও হতাশাজনক।”
এর আগে গতকাল বুধবার জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এতে ছাত্র শিবির, ছাত্র ফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও আপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন’-এ ছাত্র সংসদ সংক্রান্ত কোনো ধারা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে জকসু নির্বাচন হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় প্রথমবারের মতো জকসুর জন্য একটি খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করা হয়। এরপর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ইতোমধ্যে খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে।
আরও পড়ুন:








