সোমবার

২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩ পৌষ, ১৪৩২

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রকল্পে বিলম্ব: উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই, ২০২৫ ২২:০১

শেয়ার

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রকল্পে বিলম্ব: উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
ছবি বাংলা এডিশন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে অসন্তোষ জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের পদত্যাগ দাবি করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস-৩-এর শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গত ১৬ জুন রামকান্তপুর মৌজার বুড়ি পোতাজিয়ায় প্রস্তাবিত ক্যাম্পাস এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। যদিও সেই প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। পরবর্তীতে একনেকের একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হলেও প্রকল্পটি অনুমোদনের তালিকায় স্থান পায়নি, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনও নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই। ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকার এ পর্যন্ত একটি টাকাও বরাদ্দ দেয়নি। অথচ একই সময়ে কিংবা পরে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণে অগ্রসর হয়েছে।

তারা জানান, বিভিন্ন ধাপে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) সংশোধনের পর সর্বশেষ ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার বিষয়ে মত প্রকাশ করা হলেও প্রকল্প অনুমোদিত হয়নি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একনেক সভায় অধিকাংশ সদস্যের সমর্থন থাকলেও প্রকল্পটি এজেন্ডাভুক্ত না হওয়াকে রহস্যজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন তারা। উপদেষ্টার প্রতিবেদন কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়ায় তাদের হতাশা আরও বেড়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকট, আবাসন সমস্যা, নিরাপত্তাহীনতা এবং স্থায়ী অবকাঠামোর অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকল্প অনুমোদন না হলে রেল ও সড়ক পথ অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে তার দায় সরকারের বলে তারা উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে ২৫-২৭ জুলাই পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি ও ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সকল আনুষ্ঠানিকতা বর্জনের ঘোষণাও দেওয়া হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস-৩-এর মিলনায়তনে শিক্ষকদের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নজরুল ইসলাম ও আইন কর্মকর্তা আরমান শোভন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।



banner close
banner close